এমপিওর দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আমরণ অনশনে শিক্ষকের সংখ্যা বাড়ছে। বুধবার (৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে চতুর্থ দিনের অনশনে নতুন করে শিক্ষকরা যোগ দিয়েছেন। নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ব্যানারে গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে আমরণ অনশনে সহস্রাধিক শিক্ষক আমরণ অনশন করছেন।
এমপিওভুক্তির জন্য শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসার নতুন প্রস্তাবও প্রত্যাখান করেছেন শিক্ষক নেতারা। বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকাল দশটার দিকে প্রেসক্লাবের প্রস্তাব নিয়ে আসেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) মুহম্মদ জাকির হোসেন নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন কোনো আলোচনা নয়, এমপিওভুক্তির তারিখ ঘোষণা করতে হবে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে প্রত্যাখ্যান করেছেন শিক্ষকেরা। গতকাল সকাল ১১টা বিশ মিনিটে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী এমপিওভুক্তির নীতিমালা তৈরি ও অর্থমন্ত্রীর বরাতে কথা বলেন। এসময় শিক্ষকরা সাফ জানিয়ে দেন, এমপিওভুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে ঘোষণা শুনতে চান। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কথায় আশ্বাসে তাদের বিশ্বাস নেই।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) অনশন কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষদের অনশন থেকে উঠানোর জন্য মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে গেছেন। আশ্বাস নয় শিক্ষকদের লিখিত বক্তব্য দিতে হবে শিক্ষামন্ত্রীকে।
তিনি আরও বলেন, যাদের থাকার কথা শ্রেণি কক্ষে, তারা রাস্তায় পড়ে আছে। এটা জাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জার। সরকার বারবার তাদের আশ্বাস দিয়েছে, কিন্তু সেই আশ্বাসের কোনো বাস্তাবায়ন করতে পারিনি।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ড. বিনয় ভূষণ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত আমরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাব। চলতি বাজেটেই এমপিওভুক্ত করতে হবে। জানুয়ারি মাসের বেতনেই আমাদের এমপিও করতে হবে।
বিনয় ভূষণ বলেন,এখন পর্যন্ত আমাদের অর্ধশত শিক্ষক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের কিছু হলে এর দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে ।