আমাদের উচ্চশিক্ষা ভাবনা - দৈনিকশিক্ষা

আমাদের উচ্চশিক্ষা ভাবনা

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

এ বছর ৯ হাজার ৮১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৩০৯ পরীক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। মোট পরীক্ষার্থীর ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৪৯৬ ছাত্র ও ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৯ জন ছাত্রী। অর্থাৎ আমাদের মেয়েরা শিক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে। ১০টি শিক্ষা বোর্ডে পাসের গড় ৭৩.৯৩ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় ৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।

বিগত তিন বছরে এবার পাসের হার সর্বোচ্চ। কিন্তু প্রতি বছর শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও পাসের হার বাড়লেও বাড়ছে না মানসম্পন্ন ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা। শহর এলাকায় দু-চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাদ দিলে সারা দেশের, বিশেষত গ্রামাঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামো ও শিক্ষার মান অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক। এ বছর ফেল করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৪৮ হজার ৪৫৭। এদের বেশিরভাগই গ্রামাঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত অভিভাবকের সন্তান। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়। 

শিক্ষার্থীদের জীবনে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষার ফলাফল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এ স্তর অতিক্রমের মাধ্যমে তারা উচ্চশিক্ষার বৃহত্তর জগতে প্রবেশের সুযোগ পায়। অক্টোবরের প্রথম দিক থেকেই সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে।

ভর্তি পরীক্ষা দিতে শিক্ষার্থীদের দেশের নানা প্রান্তে ও কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ইউনিটের পরীক্ষায় অংশ নিতে ৪ থেকে ৮ বারও যেতে হয়। এতে শুধু শিক্ষার্থী নয়, ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের অভিভাবকদেরও। বেশি সমস্যায় পড়ে নারী শিক্ষার্থীরা। এভাবে সারা দেশ চষে বেড়াতে কোনো কোনো অভিভাবককে লাখ টাকাও গুনতে হয়।

প্রতিবছর লাখ লাখ শিক্ষার্থী উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হচ্ছে; ৪-৫-৬ বছর ধরে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া শেষে কর্মজীবনে প্রবেশের কঠিন যুদ্ধে ব্যর্থ হয়ে হতাশায় নিমজ্জিত হওয়ার পাশাপাশি উচ্চশিক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারছে না।

অর্জনকৃত উচ্চডিগ্রির সঙ্গে খাপখাওয়া চাকরি না পেয়ে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ডিগ্রি গোপন করে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দফতরে অফিস সহায়ক (পিওন) ও নিুপদে চাকরি করছে। কেউ কেউ অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের কেয়ারটেকার, রিকশা গ্যারেজের সুপারভাইজার, ডেকোরেটরের দোকান বা ইটভাটার ম্যানেজার, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ক্লিনার, হোটেলের রুমবয়, অ্যাটেনডেন্টের কাজ করছে। প্রাইমারি ও কেজি স্কুলগুলোতে মাস্টার ডিগ্রিধারী শিক্ষকের তো ছড়াছড়ি।

উপরে বর্ণিত কোনো কাজকেই ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। প্রতিটি কাজেরই মর্যাদা আছে। প্রশ্ন হল, ওইসব কাজের জন্য মা-বাবার কষ্টার্জিত অর্থ ব্যয় করে বিএ, এমএ পাস করার দরকার আছে কি? এতে তো কর্মজীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার যুদ্ধে খামোখা কয়টা বছর পিছিয়ে যেতে হচ্ছে। এ লেখাপড়া অনেক ক্ষেত্রে কোনো কাজেই আসছে না, তারপরও ছেলেমেয়েরা পড়ছে।

স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে, আমরা কি তাহলে আমাদের উচ্চশিক্ষিত জনসমষ্টিকে কর্মে নিয়োগের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ কর্মকাঠামো গড়ে তুলতে পারিনি? বিষয়টি আমাদের উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম এবং কর্মকাঠামোর অসামঞ্জস্যতা, সমন্বয়হীনতা ও অদূরদর্শিতাকে প্রকটভাবে ফুটিয়ে তুলছে। বর্ণিত পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবে আলোচনার দাবি রাখে, যে লেখাপড়া বা যে ধাঁচের লেখাপড়া একজন শিক্ষার্থীকে বিশ্বচরাচরে কর্মে নিয়োগের তুমুল প্রতিযোগিতায় লড়ার মতো তাক্দ দিতে পারে না, উচ্চশিক্ষা নামীয় আমাদের যে ‘প্রোডাক্ট’-এর চাহিদা আঞ্চলিক ও বিশ্ব কর্মবাজার এবং শিক্ষাবাজারে ক্রম নিুমুখী, সে ‘প্রোডাক্ট’ তৈরিতে আমরা আর কতকাল আমাদের অর্থ, শ্রম, মেধা-মনন বিনিয়োগ করে যাব? আমাদের দেশে শিক্ষিতের হার নব্বইয়ের ঘরে এখনও উন্নীত হয়নি। অথচ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় অনেক বেশি হয়ে গেছে।

যুগান্তরে এ বছরের ১ জুন প্রকাশিত একটি উপসম্পাদকীয় মতে, উন্নত দেশে ৬ বছরের একটি শিশু যা শিখে; আমাদের দেশের শিশুরা তা শিখে ১১ বছর বয়সে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার মান দুর্বল। ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞানের মানসম্পন্ন শিক্ষক নেই। সাধারণত সমাজের সচেতন ও সামর্থ্যবান বাবা-মা, সরকারি প্রাইমারির সচেতন শিক্ষকও তার শিশুসন্তানকে নিজের স্কুলে না পড়িয়ে মডেল, কেজি বা ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলে পড়াচ্ছে।

শিক্ষকরা ভালো করেই জানেন, প্রাইমারি স্কুলগুলোর লেখাপড়ার মান কোন পর্যায়ে? শুধু কি প্রাইমারি স্কুলের এ অবস্থা? মাধ্যমিক থেকে উপরের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান পদ্ধতি, শিক্ষার্থীদের কনসেপ্ট ক্লিয়ার করতে পারছে না। ফলে রেজাল্টও আশানুরূপ হচ্ছে না। অস্বচ্ছ ধারণা নিয়েই কর্মজীবনে প্রবেশ করতে হচ্ছে।

এতে প্রফেশনাল লাইনে লেখাপড়া করা ছাত্রছাত্রীদের সবচেয়ে বেশি সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। ইংরেজি ভাষা জ্ঞানে দক্ষতার অভাবও উচ্চশিক্ষায় বড় বেশি অনুভূত হচ্ছে। ইংরেজিতে লিখিত বইয়ের পাঠ বুঝতে ও হৃদয়ঙ্গম করতে শিক্ষার্থীদের ভীষণ বেগ পেতে হয়, দীর্ঘ সময় ব্যয় করেও কনসেপশন ক্লিয়ার করতে পারে না। উচ্চশিক্ষায় সবার জন্য ইংরেজি শেখার ব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত করা সম্ভব।

বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কিছু কিছু সাবজেক্ট আছে, যেখানে পরীক্ষায় পাসের জন্য সারা বছর মনোযোগী থাকার প্রয়োজন পড়ে না। ব্যাকপকেটে ভাঁজ করা খাতাতেই সারাদিনের ক্লাস সম্পন্ন হয়ে যাচ্ছে। পরীক্ষার দু-চার-পাঁচ দিন আগে ৮-১০টি প্রশ্নের উত্তর মুখস্থু করলে মোটামুটিভাবে ৫০ শতাংশ নম্বর তোলা যাচ্ছে।

গ্রাজুয়েশন, মাস্টার্সে দ্বিতীয় শ্রেণি পেতে একজন শিক্ষার্থীর ৩-৪ বা ৫ বছর ধরে ৪০-৫০টি প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে ধারণা নিলেই যথেষ্ট। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জনৈক শিক্ষক আমার মামা অনার্স ফাইনালের খাতা নিরীক্ষাকালীন একটি খাতায় ‘দ্বিতীয় মহাসমারোহ’ শব্দটি দেখে ‘স্লিপ অব পেন’ ভেবে এড়িয়ে গেলেন। পরবর্তী আরও বেশ কয়েকটি খাতায় এর পুনরাবৃত্তি দেখে স্তম্ভিত হয়ে পড়লেন।

দ্বিতীয় ‘মহাসমর’ হয়ে গেছে ‘মহাসমারোহ’। মূল ‘চোতার’ এ ভুলটি ধরার যোগ্যতাও অনার্সপড়–য়া ছাত্রদের ছিল না। এই হল আমাদের উচ্চশিক্ষার অবস্থা। কিছুদিন আগে ঞরসবং ঐরমযবৎ ঊফঁপধঃরড়হ কর্তৃক এশিয়া মহাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মানসম্পর্কিত পরিচালিত জরিপে সেরা ৪১৭টি ও কয়েকদিন আগে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিংয়ের ১ হাজারটি প্রতিষ্ঠানের তালিকায় বাংলাদেশের কোনো উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম নেই। তারপরও দেশে প্রতিনিয়ত উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত যুগান্তরের এক প্রতিবেদন মতে, ইভিনিং মাস্টার্স ও ডিপ্লোমা প্রোগ্রামের নামে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ডিগ্রি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। নামমাত্র পরীক্ষা কিংবা কোনো পরীক্ষা ছাড়াই এসব কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে। ক্লাস না করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ, নকলের সুযোগ ও যথাযথভাবে খাতা মূল্যায়ন না করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ আছে।

এ প্রক্রিয়ায় বিকল্প পথে নিুমানের গ্রাজুয়েট তৈরির কারখানায় পরিণত হয়েছে একেকটি বিশ্ববিদ্যালয়। সরকারের অর্থে পরিচালিত এ প্রতিষ্ঠানগুলো দিনে সরকারি আর রাতে বেসরকারি চরিত্রে রূপান্তরের কারণে ক্ষুব্ধ সাধারণ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

এতে শিক্ষকদের ব্যক্তিগত অধ্যয়ন ও গবেষণা বিঘ্নিত হচ্ছে, যার সার্বিক প্রভাব পড়ছে দেশের উচ্চশিক্ষার মানে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইভিনিং মাস্টার্স প্রোগ্রাম নিয়ে খোদ চ্যান্সেলর ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ উদ্বিগ্ন।

গত অক্টোবরের সমাবর্তনে এ ব্যাপারে তিনি বলেছিলেন, ডিপ্লোমা ও সন্ধ্যাকালীন কোর্সের নামে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন বিষয়ে ডিগ্রি দেয়া হচ্ছে। খেয়াল-খুশিমতো যত্রতত্র প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন কোর্স খোলার বিষয়টি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে শিক্ষাকে ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে বের করে আনতে হবে।

এমএ, এমএসসি, এমকম বা সমমানের ডিগ্রিকে আনুষ্ঠানিক লেখাপড়ার শেষ ধাপ বিবেচনার একরৈখিক গতানুগতিক ধ্যান-ধারণা থেকে আমাদের বের হয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে।

জীবনে চলার মতো, বিশ্বকে সঠিকভাবে উপলব্ধি করার জন্য যুগচাহিদানির্ভর শক্তিশালী বেসিক এডুকেশন সবার দরকার। সেটার জন্য কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও কলেবর বৃদ্ধির কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। শক্তিশালী বেসিক এডুকেশনের কারিকুলাম ও কাঠামো প্রণয়ন করে এ শিক্ষাকে সবার জন্য বাধ্যতামূলক করতে হবে।

উচ্চশিক্ষা সবার দরকার নেই। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা বা গবেষণাধর্মী কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে চাকরি ছাড়া এমএ, পিএইচডি বা উচ্চশিক্ষার দরকার পড়ে না। যাদের প্রয়োজন, উচ্চশিক্ষা শুধু তাদের জন্য উন্মুক্ত রাখার পদ্ধতি বের করে উচ্চশিক্ষার মান বাড়ানোর চেষ্টা করা যেতে পারে।

কর্মমুখী শিক্ষায় উদ্বুদ্ধকরণে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, পরিবার, দেশের সুশীলসমাজ, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের ‘মানুষ’ হিসেবে মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে। বিদেশে প্রশিক্ষণে গিয়ে দেখেছি, ওদের দেশে ড্রাইভারও আমাদের সঙ্গে একই টেবিলে বসে আহার করছে।

বিল গেটস্রে মতো ব্যক্তিকেও ফুডশপে অন্যদের পেছনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে বার্গার সংগ্রহ করতে হচ্ছে। সেটা কি আমাদের দেশে চিন্তা করা যায়? ওখানে সব মানুষ সমান। আমাদের দেশেও একজন যে পেশাতেই থাকুক না কেন; তাকে মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন ও তার সমঅধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

আমাদের দেশে চেয়ার-টেবিলে কাজ না করলে সমাজের সমীহ আদায় ও সালাম পাওয়া যায় না। আর সেজন্য হয়তো চেয়ার-টেবিলে কাজ করার জন্য সবাই উচ্চশিক্ষার পেছনে দৌড়াচ্ছে।

দেশ ও জাতি গঠনের পাশাপাশি প্রতিযোগিতার বিশ্বে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেয়ার জন্য শক্তিশালী মানবসম্পদ তৈরিতে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার বিকল্প নেই। কর্মমুখী শিক্ষার বিস্তার এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র এমনভাবে বিস্তৃত করতে হবে, যেন বেসিক এডুকেশন গ্রহণের পর ওইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ে।

এতে শিল্প-প্রযুক্তি খাতে ব্যাপক অগ্রগতি হবে এবং শিক্ষার্থীরাও স্বল্প সময়ে কর্মজীবন শুরু করে দ্রুত প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে। ফলে সবাই আর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেও চাইবে না, শুধু গবেষণায় আগ্রহী ও মনোযোগী শিক্ষার্থীরাই উচ্চশিক্ষায় আসবে। এতে উচ্চশিক্ষার মানও বাড়বে।

চীনে সাংস্কৃতিক বিপ্লবের পর ব্যবহারিক শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার এবং উচ্চশিক্ষাকে অনেকদিনের জন্য নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছিল। ওই পদক্ষেপের কারণেই হয়তো তারা আজকে বিশ্ব অর্থনীতির নিয়ন্ত্রক ও প্রযুক্তি চর্চার মোড়লে পরিণত হতে চলেছে। দেশের দ্রুত উন্নয়ন ও সয়ম্ভরতা অর্জনে আমাদের সবার শিক্ষা ভাবনাও তো এ রকমই হওয়া উচিত।

লেখক: সালাহ্উদ্দিন নাগরী, সরকারি চাকরিজীবী

দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ - dainik shiksha আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.013360023498535