আমাদের ভর্তি পরীক্ষাগুলো কতটা নির্ভরযোগ্য? - দৈনিকশিক্ষা

আমাদের ভর্তি পরীক্ষাগুলো কতটা নির্ভরযোগ্য?

মাছুম বিল্লাহ |

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সরকার পরিচালিত এবং বেসরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয়ই উচ্চমাধ্যমকি স্তরে শিক্ষার্থীরা কী কী অর্জন করেছে, সেগুলোর ওপর ভিত্তি করে ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা করে থাকে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে প্রাপ্ত গ্রেড পয়েন্ট অ্যাভারেজের মানও ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে বিবেচনায় নেয়া হয়। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তিচ্ছুদের ব্যাপকহারে অকৃতকার্য হওয়া ও একটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া নিয়ে দেশের ঐতিহ্যবাহী ও বৃহত্তম এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন জেগেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার যে ফল প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, ২৫ হাজার ৯৫৮ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ২ হাজার ৮৫০। তার অর্থ হচ্ছে ১০ দশমিক ৯৮ ভাগ শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে। এ ইউনিটে আসন সংখ্যা ১ হাজার ২৫০টি। মেধা ও কোটা অনুসারে ভর্তি হবে কৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থীরা। এ ইউনিটে ম্যানেজমেন্ট, অ্যাকাউন্টিং, ফিন্যান্স, ব্যাংকিংসহ ৯টি বিভাগ রয়েছে। সেগুলোর ভর্তি পরীক্ষা হয় এক ঘণ্টা সময়ের মধ্যে ১০০টি প্রশ্নের ওপর। বহু নির্বাচনী পদ্ধতিতে বাংলা, ইংরেজি, অ্যাকাউন্টিং, ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ, মার্কেটিং বা ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং- এ পাঁচ বিষয়ে সমানভাগে ২০টি করে প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরের জন্য মান ১.২ অর্থাৎ ১২০ নম্বরের পরীক্ষা। পাস করার জন্য পেতে হয় ৪৮। তবে, ইংরেজিতে ১০ পাওয়া বাধ্যতামূলক। এ পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ফলের ভিত্তিতে ৮০ নম্বর যোগ করে সম্মিলিত মেধাতালিকা তৈরি হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে কলা অনুষদের অধীন ‘খ’ ইউনিটের প্রথমবর্ষ সম্মান শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষার ফলে দেখা যায় ১৪ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। এ ইউনিটে ২ হাজার ৩৭৮টি আসনের জন্য ৩৫ হাজার ৭২৬ আবেদন করলেও পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ৩৩ হাজার ৮৯৭। এর মধ্যে পাস করেছে ৪ হাজার ৭৪৭। আর অকৃতকার্য হয়েছে ২৯ হাজার ১৫০।

‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠে। যে অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি করে, ডিজিটাল জালিয়াতি হয়েছে এবং সমালোচনার মুখে পড়ে পরীক্ষার ফল স্থগিত করে; কিন্তু তার পরে আবার ফল প্রকাশ করে। অপরদিকে ইউনিটটিতে নিকট অতীতে সর্বোচ্চ ফলাফল হয়েছে, যা ক্ষেত্রবিশেষে দুই থেকে তিনগুণ। এবার ২৬.২১ শতাংশ কৃতকার্য হয়েছে। এমনকি এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় রেকর্ড নম্বর পেয়ে প্রথম হওয়া ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটে অকৃতকার্য হয়েছিল। ফলে, প্রশ্নফাঁসের সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন বিষয়টি নিয়ে আন্দোলন করছে। একজন তো অনশন করে হাসপাতালে পর্যন্ত গিয়েছে।

যে কোনো গ্রহণযোগ্য ও মানসম্মত পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। একটি বহু নির্বাচনী প্রশ্নপত্রে একজন পরীক্ষার্থীকে চারটি বিষয় বিবেচনা করতে হয়- (ক) প্রশ্নের নির্দেশনা পড়তে হয় (খ) প্রশ্নে কী চাওয়া হয়েছে তা বোঝার জন্য প্রশ্নটি পড়তে হয় (গ) কোন উত্তরটি দেবে তা নির্বাচন করতে হয় এবং (ঘ) সঠিক ঘরটি পূরণ করতে হয়। এ চারটি ধাপকে বিবেচনায় নিয়ে প্রশ্নের কঠিনতার মাত্রা বিবেচনা করে একটি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য কমপক্ষে এক মিনিট সময় বরাদ্দ করতে হয়। এ সময়সীমা যদি যুক্তিসঙ্গত না হয়, তাহলে এর মাশুল দিতে বাধ্য করা হয় পরীক্ষার্থীদের অনুমাননির্ভর উত্তর চিহ্নিত করে ভুল উত্তরটিতে টিক দেয়া বা বৃত্ত ভরাট করার মাধ্যমে। এতে একজন পরীক্ষার্থীর সঠিক মেধার প্রতিফলন ঘটে না। তাই আন্তর্জাতিক পরীক্ষাগুলোর ক্ষেত্রে এমসিকিউ প্রশ্নের জন্য কমপক্ষে এক মিনিটি সময় বরাদ্দ থাকে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক ও বাণিজ্য অনুষদে ভর্তি পরীক্ষায় কমপক্ষে ১০০টি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তরের জন্য ১২০ মিনিট সময় দেয়া হয়। জিআরই পরীক্ষায় আমরা জানি, পাঁচটি সেকশন থাকে। সেখানে প্রথমেই বিশ্লেষণমূলক লেখা থাকে। তারপর দুটো ভারবাল রিজনিং টেস্ট, যেখানে দুটি অংশেই ৩০ মিনিট করে সময় পাওয়া যায় দুটো রচনা লেখার জন্য। তারপর প্রতিটি ভারবাল রিজনিং টেস্টে ২৫টি এমসিসিউ থাকে যার উত্তর দেয়ার জন্য সময় বরাদ্দ থাকে ৩৫ মিনিট। আর কোয়ান্টিটেটিভ রিজনিং অংশে ২৫টি এমসিকিউ ও উত্তর দেয়ার জন্য ৪০ মিনিট বরাদ্দ থাকে। এ সময়ের সঙ্গে মিল রেখে আমাদের পাবলিক পরীক্ষার এবং ভর্তি পরীক্ষার এমসিকিউ প্রশ্ন প্রণয়ন করা প্রয়োজন, তা না হলে না বুঝে মুখস্থনির্ভরতার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।

এবার দেখা যাক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় এমসিকিউয়ের ক্ষেত্রে কী ঘটেছিল। ‘ক’ ইউনিট মানে বিজ্ঞান অনুষদ। ‘খ’ ইউনিটকে আমরা মানবিক ও ‘গ’ ইউনিটকে বাণিজ্য অনুষদ বলে জানি। প্রতিটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় যে সময় বরাদ্দ থাকে, তা ‘নেগেটিভ মার্কিং’কে উৎসাহিত করে। আর এর ফল অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের তালিকা বাড়তে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ ইউনিটে ১২০টি এমসিকিউ থাকে, আর এজন্য সময় নির্ধারিত থাকে ৯০ মিনিট, ‘খ’ ইউনিটে ১০০টি এমসিকিউয়ের জন্য সময় দেয়া হয় ৬০ মিনিট। এর অর্থ হচ্ছে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য এক মিনিটের কম সময় নির্ধারিত থাকে। এটি আন্তর্জাতিক পরীক্ষাগুলোর সঙ্গে খাপ খায় না। ‘গ’ ইউনিটের প্রশ্নে কমপক্ষে ১০টি প্রশ্ন ছিল নেগেটিভ ইন্সট্রাকশনের, যা পরীক্ষার্থীদের কনফিউজ করে ও ধাঁধার মধ্যে ফেলে দেয়। ফলে লার্নিং আউটকাম অর্জিত হয়েছে কিনা তা বুঝতে সহায়তা করে না। নেগেটিভ মার্কিং হচ্ছে প্রশ্নের ভুল উত্তর দেয়ার ফলে নম্বর না পাওয়া এবং সর্বমোট নম্বর থেকে ভুল উত্তরের জন্য নম্বর কর্তন করা। পরীক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে এ নেগেটিভ মার্কিং থাকা উচিত নয়।

কিছু কিছু বহু নির্বাচনী প্রশ্ন থাকে যেগুলোর জন্য এক মিনিট সময় দিলেও হয় না। এ ধরনের দু-একটি প্রশ্নের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের দুই মিনিট পর্যন্ত সময় ব্যয় করতে হয় কয়েকবার পড়ে কী চাওয়া হয়েছে, তা বের করার এবং হিসাব-নিকাশ করার জন্য। তবে, গড়ে এক মিনিট সময় থাকতেই হয় যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ঘটেনি। এখানে চিন্তার অবকাশ রয়েছে। এ ছাড়াও বহু সম্বন্ধ শর্তের একটি বিষয় থাকে ভর্তি পরীক্ষায়। একজন পরীক্ষার্থী ৪৮ নম্বর পেলেও তাকে সফল বলা যাবে না যতক্ষণ না সে অন্যান্য শর্তগুলো পূরণ করতে পারছে। যেমন- ইংরেজি অংশে আলাদা পাস করতে হবে, বাংলা ও সাধারণ জ্ঞানের ক্ষেত্রেও একই কথা। এক অংশে পাস করা বা ভালো করাও কোনো শিক্ষার্থীকে ভর্তির উপযুক্ত করে তোলে না। তাই বলা যাবে না,পরীক্ষার্থীরা ব্যাপক হারে ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করেছে। একজন শিক্ষার্থী হয়তো ৪৮-এর বেশি নম্বর পেয়েছে অথচ মাল্টি রিলেশনের কারণে সে ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করতে পারে।

এবার আমরা যদি ২০০৯-২০১০, ২০১১-২০১২, ২০১৩-২০১৪, ২০১৫-২০১৬, ২০১৬-২০১৭ এবং ২০১৭-২০১৮ সেশনের ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলের দিকে তাকাই তাহলে দেখা যায়, পাসের হার যথাক্রমে ১১.১৯, ৯.৯৭, ৭.২৭, ১৭.৫৬, ৫.৫২ ও ১৪.৭৫ শতাংশ (ডেইলি স্টার ১৯ অক্টোবর ২০১৮)। তার অর্থ হচ্ছে বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে আসছে। শিক্ষার মান কমে যাওয়ায়, গণহারে জিপিএ-৫ পাওয়ায় শিক্ষার সঙ্গে জড়িত প্রায় সবাই যেহেতু বিরক্ত, তাই বিষয়টিকে সবাই স্বাভাবিকভাবে নিচ্ছে। কিন্তু ঘটনা কি আসলেই তাই? আমরা পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে আমাদের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ঠিকমতো করতে পারছি না, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায়ও তা করতে পারছি না। শুধু শিক্ষার্থীদের দোষারোপ করেই খালাস। আসলে শিক্ষার্থীদের কি আমরা দোষরোপ করতে পারি? এ শিক্ষার্থীরাই যখন বহু কষ্ট করে বিদেশে চলে যায়, তারা যে সেক্টরেই কাজ করুক না কেন সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছে, দেশে অর্থ পাঠাচ্ছে। কাজেই বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে ভেবে দেখার সময় এসেছে।

কিছুদিন আগে গ্লোবাল ইনডেক্স-২০১৮ প্রকাশ করেছে, উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশে। শুধু তাই নয়, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া ও নেপালও আমাদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় টিকে না, অনেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে না, ভর্তি যারা হয় তারা একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য শিক্ষাগ্রহণ করতে অপারগ। অথচ এসব শিক্ষার্থীই আন্তর্জাতিক মানের অ্যাসেসমেন্ট যেমন জিআরই, টোফেল, আইএলটিএস টেস্টে চমৎকার স্কোর করে, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়, সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ভালো রেজাল্ট করে, অনেকে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকও হচ্ছেন। যারা শিক্ষক হচ্ছে না তারাও অনেক ভালো ভালো প্রতিষ্ঠানে ভালো চাকরি করছেন, বড় বড় গবেষক হয়েছেন। এসব বাস্তব পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনা করলে আমাদের প্রশ্ন জাগে আমাদের জাতীয় পরীক্ষা নেয়ার পদ্ধতি ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষা কতটা নির্ভরযোগ্য!

 

মাছুম বিল্লাহ : ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচিতে কর্মরত, সাবেক ক্যাডেট কলেজ ও রাজউক কলেজ শিক্ষক

পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ - dainik shiksha পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী - dainik shiksha ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ - dainik shiksha প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন কলেজ পরিচালনা পর্ষদ থেকে ঘুষে অভিযুক্ত সাংবাদিককে বাদ দেওয়ার দাবি - dainik shiksha কলেজ পরিচালনা পর্ষদ থেকে ঘুষে অভিযুক্ত সাংবাদিককে বাদ দেওয়ার দাবি পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0064518451690674