সুপার সাইক্লোন ‘আম্ফান’-এর প্রভাবে নোয়াখালীর হাতিয়ায় অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে বাঁধ ভেঙে উপজেলার চার ইউনিয়নের কয়েকটি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের শতাধিক মৎস্য খামারের মাছ জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় উপকূলে বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। নোয়াখালী মূলভূখণ্ডের সঙ্গে হাতিয়ার নৌ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
বুধবার রাতে জেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম জানান, সুপার সাইক্লোন আম্ফানের প্রভাবে মেঘনা নদীতে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে সব প্রকার নৌ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
৯ নম্বর সতর্কসংকেত বহাল থাকায় উপজেলার ২৪০টি সাইক্লোন শেল্টারে লোকজন আসতে শুরু করেছে। দুর্যোগ মোকাবেলা প্রস্তুতি কমিটির ১৮৮টি ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
দুপুরের পর থেকে উপজেলার নদীর তীরবর্তী সুখচর, নলচিরা, চরঈশ্বর ও নিঝুম দ্বীপের নদীর তীরে বেড়িবাঁধ ভেঙে ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বেলা ১টার পর থেকে এসব এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। গত বছর বর্ষার মৌসুমে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ মেরামত না করায় খুব সহজেই জোয়ারের পানিতে এসব এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। প্লাবিত গ্রামগুলোর ২০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।
চরঈশ্বর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাশেদ উদ্দীন জানান, বেড়ির বাইরে ও ভেতরে ৫ শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে।
নলচিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বাবলু জানান, তার ইউনিয়নের ৩ কিমি. বেড়িবাঁধ ভাঙা রয়েছে। বুধবার দুপুরে অস্বাভাবিক জোয়ারের তোড়ে তিনটি গ্রাম তলিয়ে গেছে।
নিঝুম দ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান মেহরাজ উদ্দীন জানান, তার ইউনিয়নে ৮-১০ ফুট উঁচু হয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে। এতে করে সাতটি গ্রাম তলিয়ে গেছে। অনেক কাঁচা-পাকা রাস্তা ভেঙে গেছে।