শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মাঝে মাঝেই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে তড়িঘড়ি করে কাজ শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয় বলে অভিযোগ তুলেছেন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (বাকবিশিস) নেতারা। আর তড়িঘড়ি করে কাজ শেষ করার এভাবে নির্দেশ দেয়ার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। তাই পর্যাপ্ত সময় দিয়ে শিক্ষকদের বিভিন্ন কাজ করার আদেশ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির শিক্ষক নেতারা। একইসাথে শিক্ষাখাতে বাজেটের ১৫ শতাংশ বরাদ্দ রাখার দাবি জানিয়েছেন তারা।
শুক্রবার (১২ জুন) সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এসব দাবি জানানো হয়েছে বলে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, শিক্ষাখাতের বরাদ্দ থেকে রূপপুর পারমানবিক কেন্দ্রের জন্য প্রযুক্তি ক্রয়ের কোন বরাদ্দ না রাখার আহ্বান জানানো হয় সভায়। এছাড়া বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ননএমপিও শিক্ষক ও কর্মচারীদের করোনার সময়ে বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য আলাদাভাবে বরাদ্দ রাখার আহ্বান জানান শিক্ষক নেতারা। সভায় নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ করে এমপিওভুক্তির জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখার আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া অবসরপ্রাপ্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা অসবর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে যে টাকা পেয়ে থাকেন তা সরকারি কর্মচারীদের মত পেনশন স্কিমে বিনিয়োগ করার সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানানো হয়।
সমিতির যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক মিজানুর রহমান মজুমদারের সঞ্চালনায় সভায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমের এ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন অধ্যাপক ড. আজিজুর রহমান, অধ্যক্ষ ভাস্কর রঞ্জন দাশ, অধ্যক্ষ আবু বকর চৌধুরী, অধ্যাপক জলিলুর রহমান, অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, অধ্যাপক সাবিহা সালাউদ্দিন, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সেলিম, অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াহেদ মিয়া, অধ্যক্ষ রফিক উদ্দিনসহ অনেকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রতিষ্ঠান অভিযোগ করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বৃত্তির তথ্য দেয়া, হাজিরা খাতার তথ্য দেয়াসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর খুব কম সময়ে আদেশ জারি করে। অনেক সময় সে আদেশ যথাসময়ে তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয় না। এতে করে প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা বিভ্রান্ত হয়ে যায়। সম্পূর্ণ তথ্য পাঠানো যায় না। বিষয়টি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের বিবেচনা করা উচিত।
তারা আরও বলেন, কখনো কখনো দেখা যায় দুই এক দিন আগে আদেশটি জারি হলেও কাজের শেষ করার বা তার আগের দিন শিক্ষকরা এ বিষয়ে জানতে পারি। তাই প্রশাসনিক কাজের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিয়ে শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে নির্দেশনা জারি করতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্তাব্যক্তিদের অনুরোধ জানাচ্ছি।