প্রায় তিন দশকের অচলায়তন ভেঙে গত ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। নির্বাচিতরা দায়িত্ব নেন ২৩ মার্চ। এরপর এক মাস অতিবাহিত হলেও কয়েকটি ক্ষেত্র ছাড়া শিক্ষার্থীদের সমস্যার সমাধান ডাকসুর নেতাদের প্রতিশ্রুতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।
হলের সিট বহিরাগতমুক্ত, ক্যাম্পাসে রিকশা লেন চালু, ক্যান্টিনের খাবারের মান উন্নতকরণ, কেন্দ্রীয় ও হল লাইব্রেরিতে আসন বাড়ানোর আশ্বাস শোনা গেলেও কার্যত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তবে বিভিন্ন বিভাগের উন্নয়ন ফির নামে আদায় করা অতিরিক্ত ফি কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৩ এপ্রিল) কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিখেছেনহাসান মেহেদী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আবাসিক হলগুলোর সিট মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের কবল থেকে মুক্ত করতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তবে কোনো হলেই সেটা করা সম্ভব হয়নি। বহিরাগতমুক্ত করতে গিয়ে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ছাত্রলীগের দ্বারা লাঞ্ছিতও হয়েছেন ভিপি নুরুল হক নুর। এ ছাড়া হলের সেমিনার কক্ষের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হলগুলোতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ক্যান্টিনের পরিবেশ সুন্দর, খাবারের মান বৃদ্ধি ও পাঠকক্ষের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে কাজ শুরুর কথা বলা হলেও দৃশ্যমান তৎপরতা দেখা যায়নি।
ডাকসুর এজিএস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘এরই মধ্যে আমরা বিভিন্ন বিভাগের অতিরিক্ত ফি নেওয়া বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছি। আরো অনেকগুলো বিভাগের উন্নয়ন ফির নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়। সেটা বন্ধ করার জন্যও আমরা কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছি। ডাকসুর উদ্যোগে সাহিত্য পত্রিকা বের করেছি। সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থীদের যতায়াতের সুবিধার জন্য বাস সংকট নিরসন করেছি। লাইব্রেরির সময়সীমা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে; সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রিকশা ভাড়া নির্ধারণের জন্য পলিসি ডায়ালগ অব্যাহত রয়েছে। আশা করি খুব দ্রুত শিক্ষার্থীরা এর সুফল পাবে।’
ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ‘দীর্ঘদিন পরে নির্বাচন হওয়ায় সবার মধ্যে অনেক জড়তা রয়েছে। এ জন্য সব বিষয়ে দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ নিতে একটু সময় লাগছে।’
তিনি বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য যে ডাকসুর সভাপতির সঙ্গে একটা সভা ছাড়া আমরা ২৫ জন একসঙ্গে এখনো বসতে পারিনি।’