মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাতের গায়ে আগুন দেয়ার সময় আসামি জুবায়ের আহমেদ যে বোরকা পরেছিলেন তা উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২০ এপ্রিল) সোনাগাজী সরকারি কলেজের দক্ষিণ-পূর্ব পাশে ডাঙ্গিখাল থেকে তদন্তকারী দল পরিত্যক্ত বোরকাটি উদ্ধার করে। জুবায়েরকে নিয়েই এ অভিযান চালায় পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, আজ পিবিআইয়ের তদন্ত দল জুবায়েরকে নিয়ে সোনাগাজীতে নিয়ে আসে। দুপুর ১২টার দিকে সোনাগাজী সরকারি কলেজের দক্ষিণ-পূর্ব পাশে ডাঙ্গিখাল থেকে জুবায়েরের পরিহিত বোরকাটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, জুবায়ের তাদের বলেছেন, নুসরাতের গায়ে আগুন দেওয়ার পরপরই তিনি বোরকাটি এখানে খুলে পালান।
অগ্নিদগ্ধ নুসরাত জাহান রাফি ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান। ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত। কয়েকজন তাঁকে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নিতে চাপ দেন। তিনি অস্বীকৃতি জানালে তাঁর গায়ে আগুন দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা, পৌর কাউন্সিলর মাকসুদ আলমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান। এর আগে ওই ছাত্রীকে নিজ কক্ষে নিয়ে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যৌন নিপীড়নের ঘটনায় নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। ওই মামলা তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানানোয় নুসরাতের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।