রহস্যজনক কারণে ঠাকুরগাঁও-৩ এর বিএনপি দলীয় সাংসদ জাহিদুর রহমান সম্প্রতি তার ডিও লেটারের মাধ্যমে সাবেক সাংসদ ও জেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি সেলিনা জাহান লিটাকে রাণীশংকৈল মহিলা ডিগ্রী কলেজের সভাপতির চলমান পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। সাংসদের সুপারিশকৃত চিঠির প্রেক্ষিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষে কলেজ পরিদর্শক ড. মনিরুজ্জামানের গত ২৫ জুলাইয়ে স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে রানীশংকৈল ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি সইদুল হককে মহিলা কলেজের নতুন সভাপতি পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এ নিয়ে কলেজটিতে এবং রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। প্রসঙ্গত, সরকারি বিধি অনুযায়ি কোনো এমপিওভুক্ত শিক্ষক কোনো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সভাপতি হতে পারবেন না বিধায় সইদুল হকের সভাপতি হওয়ার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক প্রয়াত সাংসদ আলী আকবরের কন্যা রানীশংকৈল উপজেলা মহিলা লীগ সভানেত্রী, দু’বারের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি সেলিনা জাহান লিটা ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে সাংসদ নির্বাচিত হয়ে রাণীশংকৈল মহিলা ডিগ্রী কলেজের সভাপতি হন। তার সভাপতির মেয়াদ আগামী ২০ জুলাই ২০২০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত। কিন্তু তার আগেই তাকে স্থানীয় সাংসদের হস্তক্ষেপে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো।
এ ব্যাপারে কলেজটির অধ্যক্ষ তফিল উদ্দীন বিস্ময় প্রকাশ করে দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, আমি তো এ বিষয়ে কিছুই জানি না, এর চিঠি পেয়ে আমি মাননীয় এমপি জাহিদুর রহমানের কাছে গেলে তিনি আমাকে বলেছেন, এটা নাকি তিনি রাজনৈতিক চাপে করেছেন।
সাংসদ জাহিদুর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, ‘সাবেক মহিলা এমপি ঐ কলেজের সভাপতি ছিলেন, এটা আমি জানতাম না এবং তিনি আমার সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করেননি। আওয়ামী লীগ সভাপতি সইদুল হক যোগাযোগ করেছেন তাই তাকে ডিও লেটার দিয়েছি।’ এ ব্যাপারে কোনো রাজনৈতিক চাপ ছিল কিনা, এ প্রশ্নের উত্তর সাংসদ এড়িয়ে যান।