বাংলাদেশ যখন অর্থনৈতিক অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন বাংলাদেশিদের জন্য ইংরেজি ভাষা শেখার বিষয়টি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী।
তিনি বলেছেন, “দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে ইংরেজি শেখার বিষয়টি এখন অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্ব পাওয়ার দাবি রাখে।”
কূটনৈতিক পেশা থেকে রাজনীতিতে আসা মাহমুদ আলী শুক্রবার কথা বলেন ‘সুনির্দিষ্ট কাজে সুনির্দিষ্ট ইংরেজি’ শিক্ষার ক্ষেত্রে নতুন ধারণা খুঁজে নিতে দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে।
‘ইংলিশ ফর স্পেসিফিক পারপাজেস: কুড উই বি মোর স্পেসিফিক’ শীর্ষক দিনব্যাপী এই সম্মেলনে যোগ দিতে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে জড়ো হয়েছিলেনন বিভিন্ন দেশের তাত্ত্বিক, পেশাজীবী, শিক্ষক, বিশেষজ্ঞ, এনজিওকর্মী, সরকারি কর্মকর্তা ও করপোরেটের অংশীজনরা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন এবং জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য দেশের তরুণদের সামনে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে।
তবে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট (১৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সী কর্মক্ষম জনশক্তি যখন মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের বেশি) বাংলাদেশের জন্য যে সুযোগ নিয়ে এসেছে, ইংরেজি ভাষাটা ঠিকমত জানা না থাকলে তা কাজে লাগানো কঠিন হবে বলে মনে করেন তিনি।
মাহমুদ আলী বলেন, বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের দিকে যাওয়ায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে বড় পরিসরে কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সেজন্যও ‘প্রয়োজনভিত্তিক’ ইংরেজি জানা তরুণদের জন্য জরুরি হয়ে পড়েছে।
বৈচিত্র্যময় চাকরির বাজারের জন্য ইংরেজি ভাষার ওপর যে ধরনের দখল দরকার, তার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখা ইংরেজির বিপুল ব্যবধানের বিষয়টিতে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এই দূরত্ব ঘোচাতে চিকিৎসা, প্রকৌশল, কূটনীতিসহ আলাদা আলাদা পেশার জন্য উপযোগী করে ইংরেজি শিক্ষার আলাদা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার ওপর জোর দেন তিনি।
আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “এ সম্মেলনের মাধ্যমে যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনারা জাতির সামনে হাজির করেছেন, তা সফল হোক। ইংরেজি ভাষা শিক্ষা ও শেখানোর ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশনা এই সম্মেলনের মাধ্যমে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এটা আমাদের তরুণ প্রজন্মকে বিশেষভাবে তৈরি হতেও ভূমিকা রাখবে।”