দেশের উচ্চ এবং নিম্ন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে ৩০ লাখের অধিক মামলা। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদনে ২০০৮ থেকে ১৮ পর্যন্ত ৮ বছরের হিসেবে উচ্চ আদালতে ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৭৫ টি মামলার মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৬শ ৪৬ টি। আর অধিনস্থ নিম্ন আদালতে দায়েরকৃত ১ কোটি ৩০ লাখ ৬১ হাজার মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে ১ কোটি ১৩ লাখ ৯১ হাজার ৬শ ৯০টি।
এই মামলা জট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, যুক্তিসংগত কারণ ছাড়াই শুনানি মুলতবি না করা ও আদালতের পূর্ণকর্মদিবস ব্যবহারে বিচারকদের আন্তরিক হওয়ার তাগিদ নিয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় বিচার বিভাগীয় সম্মেলন। শান্তি ও উন্নয়নে ন্যায় বিচার প্রতিপাদ্যে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বক্তব্যে মামলা জট নিরসন ও নিরপেক্ষ বিচারের মধ্য দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জনের দিক নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের তিনটি বিভাগের মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন। একের কাজে অন্যের হস্তক্ষেপ শান্তি ও ন্যায়বিচার বাধাগ্রস্ত করে।দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নির্বাহী, আইন ও বিচার বিভাগের মধ্যে সুসম্পর্ক ও সমন্বয়ের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বেশকিছু ঘটনার দ্রুততম রায় দেয়ায় বিচার বিভাগের ওপর মানুষের আস্থা বহুগুণ বেড়েছে। ৭৫' এরপর সেনাশাসকদের ক্ষমতা দখল আদালত কর্তৃক অবৈধ ঘোষিত হওয়ায় বিচার বিভাগের প্রতি ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। এই সিদ্ধান্ত দেশের গণতন্ত্রের ধারাকে সমুন্নত রাখতে সহায়ক হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতির এখতিয়ারাধিন বিষয়ে আদালতের আদেশ প্রণয়ন ঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন সরকার প্রধান। এ সময় বিচারকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব উল্লেখ করে, দাবীর প্রেক্ষিতে একটি আইন বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।