রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া প্রত্যেক পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ ১৬ই আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার আপিল বিভাগের বিচারপতি নুরুজ্জামানের চেম্বারজজ আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে হাসপাতালের পক্ষে ব্যারিস্টার রুকন উদ্দিন মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমান শুনানি করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন, ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম, ব্যারিস্টার মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ, ব্যারিস্টার অনিক আর হক নিয়াজ মোহাম্মদ মাহবুব।
এর আগে ইউনাইটেড হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত চার পরিবারকে ১৫ দিনের মধ্যে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেয় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ।
গত ২৭শে মে ইউনাইটেড হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে (মূল ভবনের বাইরে স্থাপিত) আগুন লাগে। এ ঘটনায় পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। যাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তারা হলেন- রিয়াজুল আলম (৪৫), খাদেজা বেগম (৭০), ভের্নন এন্থনি পল (৭৪), মো. মনির হোসেন (৭৫) ও মো. মাহাবুব (৫০)।
এ ঘটনায় গত ২৯শে জুন হাইকোর্ট রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া ৫ ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ১২ই জুলাইয়ের মধ্যে সমঝোতায় আসতে বলা হয়। এ সময়ের মধ্যে সমঝোতা না হলে ১৩ই জুলাই আদালত পরবর্তী আদেশ দেবেন। এরই আলোকে আদালত আজ এ নির্দেশনা দেন।
এর আগে গত ১লা জুন রাজধানীর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে আগুনে পাঁচ জনের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রেদোয়ান আহমেদ রানজীব ও ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করা হয়।
রিটে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার পাশাপাশি হাসপাতালটির লাইসেন্স বাতিল চাওয়া হয়েছে। ওই রিটের শুনানির পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের আইজি, ফায়ার ব্রিগেড কর্তৃপক্ষ ও রাজউকের কাছে পৃথক রিপোর্ট চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। পরে ৫ই জুন হাইকোর্টে দাখিল করা তিনটি প্রতিবেদনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলার তথ্য উঠে আসে।