ইউনিক নম্বর থাকবে শিক্ষার্থীদের আইডিকার্ডে - দৈনিকশিক্ষা

ইউনিক নম্বর থাকবে শিক্ষার্থীদের আইডিকার্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক |

মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের (৬ষ্ঠ থেকে ১০ শ্রেণী পর্যন্ত) প্রোফাইল বা ডাটাবেইজ প্রণয়ন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পাশপাশি এ পর্যায়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে একটি করে ইউনিক আইডেন্টি নম্বরসহ আইডি কার্ড দেয়া হবে। ‘ইস্টাবলিশমেন্ট অব ইন্ট্রিগ্রটেড এডুকেশনার ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ প্রকল্পের আওতায় এসব করা হবে।

এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা। বাস্তবায়নের মেয়াদকাল ২০১৭ সালের জুলাই হতে ২০২০ সাল পর্যন্ত। মঙ্গলবার শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে একনেকে পাঠানো প্রস্তাবনায় বলা হয়, শিক্ষাতথ্য ব্যবস্থাপনার বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেখা যায় যে, সব শিক্ষা বোর্ড, ব্যানবেইস, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর, মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতর, কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরসহ সব সংস্থা ও দফতর স্ব স্ব উদ্যোগে শিক্ষা তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে একক সমন্বিত ব্যবস্থাপনা না থাকায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানের তথ্য পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণে সময় ও অর্থের অপচয় হচ্ছে। পাশাপাশি এনআইডি, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, প্রাথমিক শিক্ষাতথ্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ইত্যাদি তথ্য যাচাইয়ের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এছাড়া ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে আবেদন গ্রহণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সেবা প্রদানে দীর্ঘসূত্রিতার সৃষ্টি হচ্ছে।

তাছাড়া সব মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা বোর্ড এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় অনুষ্ঠিত পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও ডাটাবেজ ব্যবস্থাপনা সেকেলে। বর্তামান অবস্থায় ডাটার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন। বর্তমানে প্রচলিত হার্ডওয়্যার দিয়ে ওইসব সফটওয়্যার পরিচালনা করার ক্ষেত্রে নানারকম কারিগরি সমস্যার সৃ্ষ্টি হচ্ছে।

এসব সমস্যা সমাধানে ‘ইস্টাবলিশমেন্ট অব ইন্ট্রিগ্রেটেড এডুকেশনার ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে বোর্ডগুলোর জন্য সমন্বিত সফটওয়্যার প্রণয়ন করে ফলাফল প্রকাশ এবং এ সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ বোর্ডগুলোর অধীনেই সহজে করা যাবে। এর বাইরে এ প্রকল্পের আওতায় শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের কাজ অটোমেশন করা জন্য আরও বেশ কিছু সফটওয়্যার তৈরি করা হবে। একই সঙ্গে হার্ডওয়্যার অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে। এছাড়া মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের (৬ষ্ঠ থেকে ১০ শ্রেণী পর্যন্ত) প্রোফাইল বা ডাটাবেইজ প্রণয়ন করার উদ্যোগ নেয়া হবে। পাশপাশি এ পর্যায়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে একটি করে ইউনিক আইডেন্টিটি নম্বরসহ আইডি কার্ড দেয়া হবে।

স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও - dainik shiksha স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0047061443328857