২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ইবতেদায়ি পরীক্ষার ৬ মাস পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত হল পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন ও খাতা দেখার সম্মানী পাননি কুড়িগ্রামের উলিপুরের ১১৪ জন মাদরাসা শিক্ষক। করোনা ভাইরাসের এ মহামারিকালেও সম্মানী না পেয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুত তা পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন আর্থিক সংকটে থাকা এসব শিক্ষকেরা।
জানা যায়, গত বছরের ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা শেষ হয়। পরীক্ষায় উলিপুরে কক্ষ পরিদর্শক হিসেবে ৬০ জন শিক্ষক দায়িত্ব পালন করেন। দৈনিক ২৫০ টাকা হারে একজন শিক্ষক সম্মানী বাবদ ১৫শ টাকা করে ৬০ জন শিক্ষকের মোট ৯০ হাজার টাকা পাওয়ার কথা। এছাড়া পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে ৩৬ জন পরীক্ষক, ১২ জন নিরীক্ষক ও ছয়জন প্রধান পরীক্ষক এসব কাজে দায়িত্ব পালন করেন। তাদের সম্মানী বাবদ ৫২ হাজার ৮শ টাকা পরিশোধের কথা মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের। কিন্তু চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ইবতেদায়ি পরীক্ষার হল পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন ও খাতা দেখার সম্মানী পরিশোধের কোনো উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ এসব শিক্ষকদের।
এদিকে একই সময়ে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের সম্মানী-ভাতা পেলেও ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটায় শিক্ষকের মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, সারা দেশে অনুষ্ঠিত ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন করা কোনো শিক্ষকের এখন পর্যন্ত সম্মানী-ভাতা পরিশোধ করা হয়নি। তবে খুব দ্রুত পরিশোধের উদ্যোগ নিয়েছে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড।
এ বিষয়ে উপজেলা ইবতেদায়ি শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ দ্রুত সম্মানী-ভাতা প্রদানের দাবি করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে বেতন-ভাতা বঞ্চিত শিক্ষকরা মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে অর্থ ছাড়ের বিষয় এখনও জানা যায়নি। অর্থ পেলে দ্রুত অর্থপ্রাপ্তিসাপেক্ষে দায়িত্ব পালন করা শিক্ষকদের মাঝে সম্মানী-ভাতা বিতরণ করা হবে।