ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ছাত্রলীগের কমিটিকে টাকার বিনিময়ে গঠিত দাবি করে বিলুপ্তির জন্য গণস্বাক্ষর করেছে শাখা ছাত্রলীগের কর্মী-সমর্থকরা। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে গণস্বাক্ষরের পাশাপাশি বিক্ষোভ মিছিল করে।
গত চারদিন ধওে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি দেয়ার দাবিতে আন্দোলন করে আসছে বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা। এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি পলাশ ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষনা করে তারা।
ঊুধবার টাকার বিনিময়ে কমিটি গঠনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে বিদ্রোহী প্রুপের নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভ মিছিল শেষে তারা প্রশাসন ভবনের সভাকক্ষে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর সভায় ঢুকে পড়ে। এসময় তারা শাখা ছাত্রলীগ সম্পাদক রাকিবকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ বানিজ্যের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ করে তাকে বহিষ্কারের দাবি জানায়। এছাড়া শনিবারের মধ্যে বহিষ্কার না করলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেয় তারা।
পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্তরের সামনে গণস্বাক্ষরের আয়োজন করে। এসময় কর্মী ও সমর্থকরা সাদা কাপড়ে, ‘৪০ লাখের কমিটি-মানি না, পলাশ-রাকিব কালসাপ-ছাত্রলীগের অভিসাপ, অবৈধ ও অযোগ্য কমিটি মানি না, প্রশাসনের পকেট কমিটি-মানি না’সহ বিভিন্ন শ্লোগান লিখে স্বাক্ষর করে। এই কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি দেয়ার দাবি জানায় তারা ।
উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রামে প্রবেশ করে উশৃঙ্খল আচরণ প্রত্যাশিত নয়। আমি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ছাত্রসুলভ আচরণ প্রত্যাশা করি।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শিশির ইসলাম বাবু বলেন, আমরা ভিতরে ঢোকার অনুমতি চাইলে ভিসি চুপ ছিলেন। মৌনতা সম্মতির লক্ষণ মনে করে আমরা ভিতরে ঢুকেছি। স্যারকে শাসানো হয়নি, আমরা কেবল দূর্নিতিবাজদের শাস্তির দাবি জানিয়েছি। গত কয়েকদিন ধরে আমরা দাবি জানালেও তিনি আমাদের কথায় কর্ণপাত করেননি। তাই দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছি।