ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান লালনের পরিবারকে হুমকি দেয়ার ঘটনায় সাতজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
শনিবার রাতে মেহেরপুরের গাংনী থানায় মামলাটি দায়ের করেন মিজানুর রহমান লালনের বড় ভগ্নিপতি শহিদুল ইসলাম।
মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের কর্মচারী ইলিয়াস জোয়ার্দারকে প্রধান আসামি ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশকে ৪নং ও সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে ৩নং আসামি করা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী শেখপাড়া গ্রামের বাসিন্দা উজ্জ্বল জোয়ার্দার, গাংনীর বেদবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা অনিক, সবুজ হোসেন, শৈলকুপার চরপাড়া গ্রামের ওবায়দুর রহমান।
এ ছাড়া মামলায় আরও ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন থানা সূত্র।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, দীর্ঘদিন যাবৎ মিজানুর রহমান লালন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন করাসহ প্রক্টর পদত্যাগ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। এ ছাড়া তার সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে শত্রুতা চালিয়ে আসছে ড. মাহবুব।
সে কারণে সাবেক প্রক্টরের পক্ষ নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দেয়াসহ ক্ষয়ক্ষতি করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকে তার সমর্থকরা। সেই শত্রুতার জের ধরে ১ নভেম্বর সন্ধ্যায় কয়েকজন লালনের বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে খোঁজ করেন। তাকে বাড়িতে না পেয়ে তার মাকে বিভিন্নভাবে গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে লালনকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয় তারা।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের কর্মচারী ইলিয়াস জোয়ার্দারের নেতৃত্বে ৬-৭ জন লালনের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে পরিবারকে হুমকি দেয়। হুমকি দিয়ে ফেরার পথে এলাকাবাসীর হাতে ৪ জন আটক হন। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে দুই দফায় বিক্ষোভ মিছিল ও শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ১ ঘণ্টা আটকে রেখে জড়িতদের শাস্তির দাবি করে শাখা ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে গাংনী থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘ইবি কর্মচারীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটককৃত আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়েছে।’