ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক এবং কেন্দ্রীয় জিয়া পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতকরার অভিযোগে সেই কর্মকর্তাকে বৃহস্পতিবার বিকেলে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রশাসন।
এছাড়া ঘটনা তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ। তিনি বলেন, গতকালের (বুধবার) ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে আমরা চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেব।
এদিকে কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ইবি থানায় মামলা করেছেন ওই শিক্ষক। মামলা নং-৫৬৫/১৩.১২.১৮। রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা যায়, জিয়া পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার অনুমোদন নিতে বুধবার বিকেলে ড. এমতাজের বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমেটরির বাসায় যান কর্মকর্তা মানজারে আলম মিরু। পরে একপর্যায়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হলে উত্তেজিত হয়ে মিরু ওই শিক্ষককে মারধর করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মিরুকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
একই সাথে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিনকে আহবায়ক করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করেছে প্রশাসন। তার বিরুদ্ধে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইদ্রিস আলী এবং কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ বকুল। কমিটিকে দ্রুত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
মামলার বিষয়ে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ বলেন ‘মামলায় মানজারে আলম মিরুর নাম উল্লেখ করে আরও দুই ব্যক্তিকে অজ্ঞাতনামা করা হয়েছে। মামলা নং ৫৬৫/১৩,১২,১৮। মামলায় ৩২৩ ও ৫০৬ দুটি ধারা দেওয়া হয়েছে।’