ইবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়ম ভেঙে ছেলেকে ভর্তি করানোর অভিযোগ - দৈনিকশিক্ষা

ইবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়ম ভেঙে ছেলেকে ভর্তি করানোর অভিযোগ

ইবি প্রতিনিধি |

নিয়ম ভেঙে ছেলেকে ভর্তি করানোর অভিযোগ উঠেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক অরবিন্দ সাহার বিরুদ্ধে। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের 'সি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কমিটি সূত্রে জানা যায়, অধ্যাপক অরবিন্দ সাহা 'সি' ইউনিটের সমন্বয় কমিটির সদস্য ছিলেন। কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির কাছে তিনি 'সি' ইউনিটে তার ছেলের পরীক্ষা দেয়ার বিষয়টি জানাননি।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা পরিষদের নিয়ম অনুযায়ী, পরীক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং ব্যক্তির কোনো আত্মীয়-স্বজনের সংশ্নিষ্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সম্ভাবনা থাকলে তিনি ভর্তি পরীক্ষাসহ কোনো পরীক্ষা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থাকতে পারবেন না।

সেইসঙ্গে বিষয়টি অবশ্যই পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বা সংশ্নিষ্টদের জানাতে হবে। কিন্তু অধ্যাপক অরবিন্দ তার ছেলের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের বিষয়টি এই ইউনিটের সমন্বয়কারীকে অবহিত করেননি।

এ বিষয়ে 'সি' ইউনিটের সমন্বয়ক অধ্যাপক জাকারিয়া রহমান বলেন, বিষয়টি তিনি ভর্তি পরীক্ষার আগে লিখিত বা মৌখিক কোনোভাবেই জানাননি। ভর্তি কার্যক্রমের শেষ পর্যায়ে এসে আমরা বিষয়টি জানতে পারি।

অধ্যাপক অরবিন্দ সাহার ছেলে অনিন্দ্য সাহা স্নাতক সম্মান ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে 'সি' ইউনিটের অধীন ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন। পরে ৭৫ দশমিক ৫৭ নম্বর নিয়ে পোষ্য কোটায় ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগে ভর্তিও হন। বর্তমানে তিনি নিয়মিত ছাত্র।

অধ্যাপক অরবিন্দ 'সি' ইউনিটের কোর কমিটিতে না থাকলেও ব্যবসা প্রশাসন অনুষদের ডিন হওয়ায় 'সি' ইউনিটের সমন্বয় কমিটিতে ছিলেন। কমিটির অন্যান্য সদস্য ছিলেন এই অনুষদভুক্ত ছয়টি বিভাগের চেয়ারম্যান। 

তার তথ্য গোপনের বিষয়টি নিয়ে সিনিয়র এক শিক্ষক বলেন, 'তিনি কোর কমিটিতে না থাকলেও ভর্তি পরীক্ষা সমন্বয় কমিটির সদস্য ছিলেন। তার ছেলেও পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। তথ্য গোপন করে তিনি অন্যায় করেছেন।'

এ বিষয়ে অধ্যাপক অরবিন্দ সাহা বলেন, 'আমি ভর্তি পরীক্ষা কমিটিতে ছিলাম। কিন্তু কোনো কাজ করিনি। ডিন হিসেবে স্বাক্ষর করেছি মাত্র।'

এ বিষয়ে উপাচার্য ও কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, 'এ বিষয়টি সংশ্নিষ্ট কেউ আমাকে লিখিত বা মৌখিকভাবে জানাননি। ওই শিক্ষকও কিছু বলেননি। নিয়ম অনুযায়ী তিনি আইন লঙ্ঘন করেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দাবি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের - dainik shiksha পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দাবি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার - dainik shiksha ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, ভাইবোন গ্রেফতার - dainik shiksha প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, ভাইবোন গ্রেফতার ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি - dainik shiksha ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় - dainik shiksha শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে - dainik shiksha ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0069031715393066