একই প্রশ্নপত্রে টানা দুই শিক্ষাবর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইংরেজি বিভাগ। ৯ নভেম্বর তৃতীয় বর্ষের এলিজাবেথান অ্যান্ড জ্যাকোবিয়ান ড্রামা (৩০৫নং) কোর্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার প্রশ্নের সাথে হুবহু মিল রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।
সূত্র মতে, ৯ নভেম্বর ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের এলিজাবেথান অ্যান্ড জ্যাকোবিয়ান ড্রামা (৩০৫নং) কোর্সের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের ৮টি প্রশ্নের সাথে গত বছরের ৬টি প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়া যায়। গত বছরের প্রশ্নপত্রের সাথে দুইটি নতুন প্রশ্ন সংযোজন করেই এবছরের পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও এবছরের প্রশ্নপত্রের ব্যাখ্যা অংশের ৬টি প্রশ্নের সাথে গত বছরের ৫টি প্রশ্নের মিল রয়েছে। শুধু একটি প্রশ্ন পরিবর্তন করা হয়েছে।
একই প্রশ্ন দিয়ে দুই শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা গ্রহণের ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছে সচেতন শিক্ষক মহল। বিতর্কিত এ পরীক্ষা বাতিল করে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানায় অনেকে। এছাড়াও পরীক্ষা কমিটির সভাপতি আজগর হোসাইনের বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র দেয়ার নামে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কোর্স শিক্ষকদের দেয়া প্রশ্ন সমন্বয় না করেই তরিঘড়ি করে বিগত বছরের প্রশ্ন কপি করে এবছরের পরীক্ষা গ্রহণ করেছেন অনার্স তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা কমিটির সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক আজগর হোসেন।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভাগটির এক শিক্ষক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী পূর্ববর্তী বছরের প্রশ্নের সাথে পরবর্তী বছরের প্রশ্নে কোনোভাবেই ২০ শতাংশের বেশি প্রশ্ন পূণরাবৃত্তি করা যাবে না। যদি কেউ করে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্স ভঙ্গ করা হবে।’
পরীক্ষা কমিটির সভাপতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজগর হোসাইন বলেন, ‘যেভাবে খুশি পরীক্ষা কমিটি প্রশ্ন করতে পারে। এ ব্যাপারে কোনো বিধি নিষেধ নেই।’