একই প্রশ্নপত্রে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইংরেজি বিভাগে দুই বছর চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণ করায় তৃতীয়বর্ষের ৩০৫ নং কোর্সটির পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া অবহেলার দায়ে ওই পরীক্ষা কমিটির সভাপতিকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। নতুন সভাপতি করা হয়েছে সহকারী অধ্যাপক তানজিলা শহীদকে।
বাতিল কোর্সের পরীক্ষা অন্যান্য কোর্সের পরীক্ষা শেষে নেয়া হবে। একই সঙ্গে পরীক্ষা কমিটির সভাপতিসহ কোর্স শিক্ষককে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে। শনিবার বিভাগের একাডেমিক সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় সভাপতি প্রফেসর ড. সালমা সুলতানা।
সভা সূত্র জানায়, একই প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়ায় পরীক্ষা কমিটির সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজগর হোসেনকে এক বছরের জন্য পরীক্ষার সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। কোর্স শিক্ষক (৩০৫) সহকারী অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন জাহিদকে দুই বছরের জন্য পাঠদানে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
পরীক্ষার্থী ও বিভাগীয় সূত্র জানায়, তৃতীয়বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় (২০১৯) ৯ নভেম্বর ‘এলিজাবেথান অ্যান্ড জ্যাকোবিয়ান ড্রামা’ (৩০৫) নং কোর্সের পরীক্ষা হয়। পরীক্ষায় ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত প্রশ্নপত্রের চারটি প্রশ্ন বাদে সব প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়া যায়।
জানা যায়, ৮০ নম্বরের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে পাঁচ সেটে দশটি প্রশ্ন থাকে। শিক্ষার্থীকে প্রতি সেট থেকে যে কোনো একটি করে উত্তর দিতে হয়। এছাড়া ৬ নং সেটে আরও আটটি ছোট প্রশ্ন থাকে। এর মধ্যে শিক্ষার্থীকে চারটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়।
ইংরেজি বিভাগের তৃতীয়বর্ষের ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার ১৮টি প্রশ্নের সঙ্গে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৪টি প্রশ্ন হুবহু মিল পাওয়া যায়। এতে ফল বিপর্যয়ের আশঙ্কা করেন পরীক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে একাডেমিক সভায় এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এ বিষয়ে ইংরেজি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সালমা সুলতানা বলেন, ‘বিভাগীয় সভায় পরীক্ষাটি বাতিল করা হয়েছে। কোর্সের পরীক্ষাটি আবার অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা কমিটির সভাপতি পরিবর্তন করে নতুন সভাপতি করা হয়েছে।’