গৌরব ও ঐতিহ্যের চারটি দশক পেরিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এখন আন্তর্জাতিকীকরণের স্বপ্ন লালন করছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রমে অনলাইন নির্ভরতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্বোচ্চ এই বিদ্যাপীঠে আজও ভর্তি প্রক্রিয়াটি রয়ে গেছে সেকেলে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের বিভাগ থেকে শুরু করে আবাসিক হল, ব্যাংক, নির্দিষ্ট স্বাক্ষরকারীর কক্ষ ইত্যাদি জায়গায় অবিরাম ছুটে চলতে হয়। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সমকাল পত্রিকায় এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, এ ছাড়া বিভিন্ন স্থান থেকে রসিদ সংগ্রহ এবং প্রতিটি খাতে আলাদা অর্থ জমাদান, ধীরস্থির কার্যক্রম ও ব্যাংকে দীর্ঘ লাইনসহ পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। অনেক ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করাই কষ্টকর হয়ে পড়ে। এ ছাড়া বর্তমানে অধ্যয়নরত প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষার্থীর পরীক্ষার কার্যক্রম সম্পন্ন করতে অনেক বেগ পোহাতে হয়।
কিছু দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির কাজের প্রতি অবহেলা, আদিষ্ট আচরণ ও আন্তরিকহীনতার ফলে শিক্ষার্থীদের অনেক সময় ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সুতরাং জটিল ভর্তি প্রক্রিয়ার দুর্ভোগ এবং শিক্ষার্থীদের অসহ্য বিড়ম্বনার কথা বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম অনলাইনভিত্তিক বা সহজাত উপায়ে সম্পন্ন করার জন্য সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
লেখক : মো. আশিকুর রহমান, শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।