জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানিয়েছে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। শনিবার (১৫ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার এস.এম. এহসান কবীরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্তরের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ সকাল সাড়ে ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত উত্তোলন করা হয়। পরে ১৫ আগস্টের সকল শহীদের আত্মার শান্তির মাগফেরাত কামনা করে কুরআন খতমের আয়োজন করা হয়।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সকাল ৯টায় এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ বলেন, জাতির পিতার নির্দেশনায় ও নেতৃত্বে এদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন এদেশকে স্বাধীন করেছে। যখন স্বাধীন হলো বাংলার মানচিত্র তখন জাতির পিতা দেখতে পেলেন একটি হতদরিদ্র দেশ, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ। তিনি এই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কাজ শুরু করেন। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস যুদ্ধাপরাধী স্বাধীনতা বিরোধী একটি চক্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করে এবং তিনি শাহাদাত বরণ করেন।
তিনি বলেন, যে অল্প সময় তিনি কাজ করেছেন এর মধ্যে শিক্ষা,অর্থনীতি এবং শিল্প কারখানা সর্বধিকে মনোযোগ দিয়ে তিনি অনেক কাজ করেছেন। এই যে আজকের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিচালনার জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান ছিল না। যার জন্য তিনি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন প্রতিষ্ঠা করেন। শুধু তাই নয়, ইসলামের জন্য এবং ধর্মীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিকাশের জন্যেও তিনি কাজ করেছেন। এই লক্ষ্যে তিনি বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ প্রতিষ্ঠানটির কার্যধারা অব্যাহত ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কাজকে আরও বেগবান করেন একই সাথে তিনি মাদরাসা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার পথ সুগম করার জন্য ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। প্রধানমন্ত্রী নিজেকে দেশের জন্য উৎসর্গ করেছেন। আমাদেরকেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করতে হবে। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর জীবনাদর্শ অনুসরণ করে দেশের জন্য নিজেদেরকেও উৎসর্গ করতে হবে।
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার এ. এস. মাহমুদ এর সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল শোক সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার জনাব এস.এম. এহসান কবীর। ভার্চুয়াল শোক সভায় আরও সংযুক্ত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর সিরাজ উদ্দিন আহ্মাদ, পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) প্রফেসর ড. মো. গোলাম আজম আযাদ, উপ-রেজিস্ট্রার ড. মো. আবু হানিফা, সহকারী অধ্যাপক ড. জাভেদ আহমাদ, সহকারী রেজিস্ট্রার মো. জাকির হোসেন, সহকারী রেজিস্ট্রার ফাহাদ আহমদ মোমতাজী, সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো. জিয়াউর রহমান সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।