কয়েকদিন পরই ঈদুল আজহা। ঈদ আনন্দের বার্তা নিয়ে এলেও হতাশা বেড়ে যায় এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষকদের। পরিবারের সদস্যদের ঈদ উৎসবে বাড়তি চাহিদা পূরণ করতে ব্যয়ের বাজেটের সঙ্গে যখন আয়ের হিসেব মেলে না। এভাবেই কাটে বেসরকারি শিক্ষকদের প্রতি বছরের ঈদ। সোমবার (৫ আগস্ট) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়। নিবন্ধটি লিখেছেন মেহেদী হাসান তানজীল।
বাংলাদেশের প্রতিটি পেশায় উৎসবভাতা দেয়া হয় মূল স্কেলের সমান হারে। ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ঈদ বোনাসের প্রচলন শুরু হয়েছে ২৫ শতাংশ দিয়ে। এখন পর্যন্ত তার কোনো পরিবর্তন হয়নি। দেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, ক্রীড়া, পরিবেশ, কৃষি, খাদ্য, টেলিযোগাযোগ, সংস্কৃতি, সামাজিক নিরাপত্তা, মানবসম্পদ উন্নয়নসহ দেশের অবকাঠামোর ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও উন্নয়ন হয়নি বেসরকারি শিক্ষকদের। অভাব-অনটনের মাঝে যখন পরিবারে সুখের দেখা মেলে না তখন মানসিক চাপ নিয়ে কীভাবে শিক্ষার্থীদের ভালো পাঠদান করা সম্ভব?
সরকারি এবং বেসরকারি শিক্ষকরা একই যোগ্যতা ও পাঠ্যক্রমে পাঠদান করান; তারপরেও বেতনভাতার ক্ষেত্রে রয়েছে বৈষম্য। এই বৈষম্য রেখে উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব নয়। তাই সরকারি ও বেসরকারি বৈষম্য দূর করা একান্ত প্রয়োজন।
লেখক : শিক্ষক, রাজাপুর, ঝালকাঠি।