নারায়ণগঞ্জে কারফিউ দেয়া হবে এমন গুঞ্জন চলছিল গত কয়েক দিন ধরেই। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুঞ্জনটি বেশি ছড়িয়েছিল। তবে এই গুঞ্জনটির বাস্তব রূপ দেখতে চায় নারায়ণগঞ্জের সচেতন মহল। কেননা দিন যতই যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ততই বাড়ছে।
এরই মধ্যে গতকাল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮৭৮ জন। আর টেস্ট বাড়ানো হলে এর সংখ্যা আরো বহুগুণ বাড়বে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে, শহরের মার্কেট ও গার্মেন্টস চালু হওয়ার পর থেকেই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। এছাড়া শহর অনেকটা স্বাভাবিক রূপ নিয়েছে। অনেকে অকারণে শহরে ঘুরাফেরা করছে। সচেতনতা কমে যাওয়ায় করোনা ভাইরাস নারায়ণগঞ্জে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
এদিকে, ঈদকে সামনে রেখে সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। আর এরই মধ্যে নারায়ণগঞ্জে কারফিউ দেওয়ার উত্তম সময়।
তবে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নারায়ণগঞ্জে কারফিউ না দেয়া হলেও জেলাতে কাউকে প্রবেশ বা বের হতে দেয়া হচ্ছে না।
সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জে করোনা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হচ্ছে। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। শহরে সবকিছু যেন আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে। শুধু গণপরিবহন ছাড়া সব কিছুই এখন স্বাভাবিক। নারায়ণগঞ্জের মানুষ অবাধে শহরময় ঘুরে বেড়াচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মানার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বিভিন্ন মার্কেট আর বাজারগুলোতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে লোকজন। এ অবস্থায় করোনা ভাইরাস কে বহন করছে তা কেউ বুঝতে না পারায় নারায়ণগঞ্জ এখন আরো ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
এমতাবস্থায় অভিজ্ঞ মহল মনে করে, নারায়ণগঞ্জবাসীকে বাঁচাতে হলে তাকে ঘরে রাখতে হবে। আর প্রশাসনের দেয়া লকডাউন সাধারণ মানুষ বুঝে না বলেই শহরমুখী মানুষের জনসমাগম রোধে কারফিউ দেয়ার বিকল্প নেই।