বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, উচ্চশিক্ষা বিস্তারের স্বার্থেই এ কমিশনকে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার বাইরে রাখতে হবে। কোনো একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কোনো বিভাগ, অনুষদ অনুমোদনের ক্ষমতা যদি উচ্চশিক্ষা কমিশনকে দেওয়া না হয় তবে তার থেকে তো ইউজিসির ক্ষমতাই বেশি ছিল। একটা কোর্স খুলতে যদি বাইরে থেকে অনুমতি নিতে হয় তবে কমিশনের গতি কমে যাবে। এমনটা হলে উচ্চশিক্ষা কমিশন কাজ করতে পারবে না। কমিশন তো আর পোস্ট অফিস হিসেবে কাজ করতে পারে না।
প্রথিতযশা এ শিক্ষাবিদ আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর মাত্র ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন গঠন করেছিলেন। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বেড়েছে অনেক। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার বিস্তৃতি ও বিশ্বমানের শিক্ষা নিশ্চিত করতে উচ্চশিক্ষা কমিশনের স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে।
এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান সৃষ্টি ও বিশ্ব পরিমণ্ডলের উপযোগী দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি করবে। বিশ্বমানের শিক্ষার জন্য আগে দরকার স্বায়ত্তশাসন, স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা। এ ক্ষমতা উচ্চশিক্ষা কমিশনকে দিতে হবে। আর এ কমিশনের চেয়ারম্যান পদে প্রথিতযশা শিক্ষাব্যক্তিত্বরাই থাকবেন। এখানে প্রশাসক বসানোর কোনো সুযোগ নেই।
আমলারা সবক্ষেত্রেই নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শন করতে চান। উচ্চশিক্ষার স্বার্থে এ জায়গা আমলাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে রাখতে হবে।
সৌজন্যে: বাংলাদেশ প্রতিদিন