উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের দায় - দৈনিকশিক্ষা

উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের দায়

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

একটা সময় দেশে হাতেগোনা ক’টি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, সেখানে পড়তে যাওয়া ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও এখনকার তুলনায় অনেক কম ছিল। তবে ছাত্র-শিক্ষক সবাই বিশেষ সম্মানের দাবিদার ছিলেন; এমনকি সরকারি কলেজগুলোতে পড়তে যাওয়া ছাত্রছাত্রীদেরও বিশেষ কদর ছিল। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়।

নিবন্ধে আরও জানা যায়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সম্প্রসারণের প্রয়োজনেই প্রতি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। এতে করে ভবিষ্যতে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমতে পারে- এ আশায় আমার মতো অনেক শিক্ষক এ প্রকল্পটিকে স্বাগত জানায়। যদিও প্রতিটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ই পরবর্তী সময়ে মানবিক ও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সব বিষয়ই পড়ানোর দায়িত্ব নিয়েছে।

এতে করে ২০-২৫ জনের শ্রেণিকক্ষের প্রত্যাশাটি পূরণ না হলেও ওইসব বিষয়ে গভীর জ্ঞান বা ব্যুৎপত্তি লাভ করেনি এমন অনেক স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী চাকরিপ্রত্যাশী বেকার তৈরি হয়েছে। স্বভাবতই, মানবিক প্রায়োগিক দিকটি সীমাবদ্ধ এবং বিজ্ঞানে বিনিয়োগ ভীষণ ব্যয়সাপেক্ষ; তাই সব শিক্ষার্থীর জন্য বিনিয়োগনির্ভর স্বয়ংসম্পূর্ণ কর্মক্ষেত্র তৈরি সম্ভব না হলে অনেককে চাকরির বাজারে পরমুখাপেক্ষী হয়েই থাকতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে অহেতুক সম্প্রসারণের এ দিকটি এক্ষুণি বিবেচনায় আনতে হবে।

কারিগরি, স্বাস্থ্য ও ক্ষুদ্র ঋণভিত্তিক ব্যবসায় শিক্ষা সম্প্রসারণের জন্য প্রতিটি জেলায় থাকা ডিপ্লোমা কলেজগুলোকে ঢেলে সাজাতে হবে। সারা দেশে শিক্ষিত বেকারের ভয়াবহ সংখ্যাটি এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই! একইসঙ্গে সরকারি কলেজগুলোর শিক্ষার মান তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে যেন তাদের হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার করা যায়।

কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার মান নজরদারির ব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষকতায় প্রতিশ্রুতি ও পেশাদারিত্বের ঘাটতিও অনেকদিন ধরেই আলোচিত হয়ে আসছে। ঢালাওভাবে শিক্ষকদের অযোগ্যতা বা অবহেলার সমালোচনা না করলেও অবস্থার উন্নতিকল্পে তাদের দায়িত্ব বা আন্তরিকতার ব্যাপারে আলোকপাত করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বৈকি!

দেশে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে, অনেকেই সেখানে শিক্ষক হচ্ছেন; এমনও অনেক শিক্ষক আছেন যারা শিক্ষক হতেই চাননি। যা হতে চেয়েছেন, তা না পেয়ে বা বিশেষ সুযোগে শিক্ষক হয়ে গেছেন। উচ্চশিক্ষার মান ধসের ক্ষেত্রে এরকম অনেক শিক্ষকের দায় কোনোভাবেই এড়ানো সম্ভব নয়। অবশ্য এমন সব নিয়োগে কর্তৃপক্ষেরও অবহেলা রয়েছে।

রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত বিশেষ বিবেচনায় যেসব অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ পাচ্ছেন, তারা চাইলে নিজেদের পেশাগত দায়িত্বশীলতার দিকটি বিবেচনায় এনে দক্ষতা ও যোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করতে পারেন। সেটিই পেশাদারিত্ব। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, ছাত্রজীবনে ভালো না করেও হঠাৎ বনে যাওয়া বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকই পেশাগত জীবনেও ‘শর্টকাট’ এ বেশি আগ্রহী।

বিভিন্ন রকম লেজুড়বৃত্তির মাধ্যমে পদোন্নতি, আর্থিক সুবিধা ও প্রশাসনিক কাজের ভাগ পেতেই বেশি ব্যস্ত; যেখানে নিজের জ্ঞান অর্জন ও ছাত্রদের জ্ঞান বিতরণের বিষয়টি নিতান্তই গৌণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গভীর জ্ঞান, মৌলিক গবেষণা বা পাণ্ডিত্য শব্দগুলো তাই এখন অনেক দূরের কথা; নিয়মিত ক্লাস নেন বা যথাসময়ে পাঠ্যক্রম শেষ করেন এমন শিক্ষকরা এখন রীতিমতো সিলেবাস ‘ম্যানেজ’ করে ফেলা তথাকথিত স্মার্ট শিক্ষকদের ভিড়ে প্রায় বিলুপ্ত।

বিশেষ করে নতুন ও প্রান্তস্থ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রয়েছে ন্যূনতম দক্ষতা (মিনিমাম প্রুভেন এক্সপার্টিজ) ছাড়াই যে কোনো বিষয় পড়ানো ও মূল্যায়ন করার প্রবণতা, যেটি প্রকারান্তরে অসংখ্য মেধাবী শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রতারণা করার শামিল।

এখন এমন একটি সময় যখন ‘ক্লাস রিপ্রেজেন্টেটিভ’কে প্রতিদিন ফোন করে শিক্ষককে পরবর্তী ক্লাসের সময়সূচি মনে করিয়ে দিতে হয়! সকাল ৯টা থেকে দেয়া ক্লাস শুরুর সময় ‘আসছি-আসব’ বলে দুপুর গড়িয়ে গেলেও অনেক সময় শিক্ষকের দেখা মেলে না; দীর্ঘ অপেক্ষার পর শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ছাড়তে হয় আরেকটি দিনের অনিশ্চিত ক্লাসের নতুন প্রতিশ্রুতি নিয়ে।

একটি-দুটি নয়, প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়েই এমন ভীষণ ব্যস্ত অনেক শিক্ষক রয়েছেন, যারা অন্যান্য কাজের চাপে পড়ানোর সময়টুকুই বের করতে পারেন না! অথবা, দিনে ওই দেড় ঘণ্টা সময় ব্যয় করে ছাত্রদের পড়ানোর কাজটুকুকে খুবই অপ্রয়োজনীয় মনে করেন। কারণ, এর জন্য কাউকেই জবাবদিহি করতে হয় না এবং শুধু ক্লাস ফাঁকি দেয়ার জন্য তার কোনো শাস্তি হয় না।

নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা যেমন নেন না, তেমনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পাঠ্যক্রম শেষ করার দায়ভারও নেই তাদের। একটি সেমিস্টারের পুরো সময়জুড়ে পাঠ্যক্রমের অর্ধেক পড়ালেও শেষ সপ্তাহেই বাকি অর্ধেক পড়িয়ে ফেলার মতো জাদুকরী ক্ষমতা তারা রাখেন। সঠিকভাবে না পড়ালেও এমন অনেক শিক্ষকই আবার পরীক্ষা কমিটিতে থাকার ব্যাপারে ভীষণ আগ্রহী; যদিও সময়মতো খাতা দেখা বা প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে আবার অনীহা।

প্রশ্নের গুণ-মানের কথা বলাই বাহুল্য, যেখানে অনেক শিক্ষক নিজের নিুমানের শিক্ষকতার দায় সারেন কম পড়িয়ে এবং বেশি নম্বর দিয়ে। তবুও এটিই একমাত্র পেশা যেখানে শিক্ষকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ও প্রতিযোগিতামূলকভাবে যারা ভালো করছেন তাদের স্বীকৃতি দেয়ার ও যারা কর্তব্যে অবহেলা করছেন তাদের শাস্তির ব্যবস্থা নেই।

যা হওয়ার কথা তা হল, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিত্যনতুন জ্ঞান অর্জন ও গবেষণার মাধ্যমে কার্যকরী ও উদ্ভাবনী সব শেখানোর কৌশল আবিষ্কার করবেন এবং শিক্ষার্থীদেরও গবেষণা ও শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজে লাগাবেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আমাদের অধিকাংশ শিক্ষকই সেই অনেক বছর আগের ‘ক্র্যাফট মডেল’ অনুসরণ করে যতটুকু তাদের শিক্ষকরা দেখিয়ে দিয়েছেন, সেটুকু নিয়েই শিক্ষকতার দায়িত্ব সমাপ্ত করেন কোনোরকম ভিশন বা লক্ষ্য ছাড়াই।

আর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গবেষণার বিষয়টি তো বলতে গেলে এখন একটি কৌতুকের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রেও শিক্ষকদের একতরফা দায়ী করার সুযোগ নেই। অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত শিক্ষক আছেন বলেই গবেষণা এখন সম্পূর্ণ প্রয়োজনের খাতিরে হয় এবং সেটি হল পদোন্নতি। এর মধ্যেও কিছু ব্যতিক্রমী শিক্ষক রয়েছেন, যারা প্রয়োজনের বাইরেও গবেষক হিসেবে সত্যিই ভালো কাজ করতে চান।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের একচোখা নীতির কারণে মৌলিক গবেষণা করেন বা মানসম্পন্ন জার্নালে দীর্ঘ সময় নিয়ে প্রবন্ধ ছাপেন, সেসব শিক্ষকও অনেক সময় তা করতে নিরুৎসাহিত হন।

এ দেশে একই বোর্ডে দুই শিক্ষকের প্রমোশন হয় দু’ধরনের প্রবন্ধ দিয়ে; কোনটি ছাপাতে তিন দিন লাগে, আর কোনটি দু’বছর। আমাদের মঞ্জুরি কমিশন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য গ্রহণযোগ্য জার্নালের মান নির্ধারণ করেছেন শুধু আইএসএসএন নম্বর দিয়ে! সেসব জার্নালের আবার ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টরও আছে; তবুও কোথাও পিয়ার-রিভিউড কথাটি নেই।

তাই ‘স্কোপাসকো ইনডেক্সড জার্নাল’ বা ‘ইম্প্যাক্ট ফ্যাক্টর’ নয়, আর্টিকেল রিভিউ হল কিনা এবং প্রকাশিত হওয়ার আগে এর সামগ্রিক মান কতখানি বাড়ল, সেটিই গুরুত্বপূর্ণ। অবিলম্বে এসব নীতিমালার আধুনিকায়ন করে গবেষণার মৌলিকত্ব রক্ষা ও নিয়মিত পাঠদানের জন্য জবাবদিহিতা তৈরি করতে হবে। অন্যথায় উচ্চশিক্ষার মানের এ ধস ঠেকানো যাবে না।

পেশাগত দৃষ্টিকোণ থেকে শিক্ষকদের যে দুটি অবশ্য করণীয় তার মধ্যে একটি হল নিয়মিত মানসম্পন্ন পাঠদান এবং অন্যটি হল লিখিত প্রতিক্রিয়া (ফিডব্যাক) ভিত্তিক মূল্যায়ন নিশ্চিতকরণ। যে কোনো মূল্যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পাঠ্যক্রম শেষ করতে হবে; নির্ধারিত সময়ে নিয়মিত ক্লাস নিতে হবে; প্রতিটি বিষয়ের গভীরে গিয়ে বক্তৃতা তৈরি করতে হবে, কঠিন বিষয় শিক্ষার্থীদের কাছে বোধগম্য করার জন্য প্রয়োজনে প্রযুক্তির (পাওয়ার পয়েন্ট) সাহায্য নিতে হবে, যতটা সম্ভব সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী কৌশল অবলম্বন করতে হবে, শ্রেণিকক্ষে দলবদ্ধ অনুশীলনের মাধ্যমে অংশগ্রহণমূলক শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

শুধু শিক্ষক নিজে পড়ালেই হবে না, প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের নিজ দায়িত্বে, নিজস্ব উপায়ে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ দিতে হবে। সেই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উৎসাহ দিতে হবে এবং শ্রেণিকক্ষের বাইরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা অনলাইন লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (‘গুগল ক্লাস’ একটি উদাহরণ হতে পারে) এর মাধ্যমে সংযোগ রাখতে পারলে এ কাজটি সহজ হয়।

সেই সঙ্গে প্রত্যেক শিক্ষককে সাম্প্রতিক সময়ের বিষয়ভিত্তিক গবেষণা প্রবন্ধ পড়তে হবে ও ছাত্রদের পড়তে দিতে হবে; নিদেনপক্ষে এসব গবেষণালব্ধ ফলাফল এবং নিজের মৌলিক গবেষণা থেকে প্রাপ্ত নতুন তথ্য শিক্ষার্থীদের জানাতে হবে।

মূল্যায়নের ক্ষেত্রেও জবাবদিহিতা ও পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের অভাবে ভোগেন আমাদের শিক্ষকরা। শিক্ষা সম্পর্কিত বিষয়গুলো ছাড়া অন্য বিষয়ের বেশিরভাগ শিক্ষকরাই পড়াতে আসার আগে আদর্শ মূল্যায়ন পদ্ধতি বা মূল্যায়ন বিধি সম্পর্কে হাতে-কলমে জেনে আসেন না।

এ বিষয়গুলো নিয়ে সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে প্রত্যেক শিক্ষকের মধ্যে সংশয় ও দ্বিধা কাজ করে। তার ওপর রয়েছে দু’জন পরীক্ষকের মধ্যে মতপার্থক্য। তাই নিয়োগপ্রাপ্তির পরপরই শিক্ষকদের অভিন্ন মূল্যায়ন পদ্ধতি ও বিধি (বিশেষ করে নম্বর প্রদান বিষয়ে) সম্পর্কে এবং পাঠদানের প্রত্যাশিত কৌশল ও আচরণবিধি নিয়ে পেশাগত প্রশিক্ষণ দেয়ার কোনো বিকল্প নেই। প্রয়োজনে আইন করতে হবে।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এমন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা না থাকাটাই অনেক শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারী শিক্ষকতার কারণ। জবাবদিহিতা বাড়ানোর আরেকটি জায়গা হল নম্বরভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতির সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যেক ছাত্রের প্রতিটি পরীক্ষা ও অ্যাসাইনমেন্টের জন্য শিক্ষকের লিখিত প্রতিক্রিয়া বা ফিডব্যাক নিশ্চিত করা।

বর্তমানে আমরা শুধু নম্বর দিয়েই দায়মুক্ত হই, যেটি শিক্ষার্থীদের হয় অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস অথবা অপ্রয়োজনীয় হতাশায় নিমজ্জিত করে। নিজের সক্ষমতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা না পেয়ে ও যথাযথ পরামর্শের অভাবে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। তাই শিক্ষক অবশ্যই শিক্ষার্থীকে তার পারফরম্যান্সের ভালো ও দুর্বল দিক এবং কীভাবে আরও ভালো করতে হবে সে বিষয়ে বিশদ ও তাৎক্ষণিক পরামর্শ দেবেন।

মানসম্পন্ন শিক্ষার চারটি মূল স্তম্ভ হল- ১. ইমিডিয়েট ফিডব্যাক বা শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা সম্পর্কে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া বা মতামত ২. টিমওয়ার্ক বা দলবদ্ধ শিক্ষণ পদ্ধতি ৩. ভিজিবল লার্নিং বা দৃশ্যমান শিক্ষা ৪. ইন্ডিভিজ্যুয়ালাইজড লার্নিং বা স্বতন্ত্র শিক্ষা। বর্তমানে শিক্ষকদের মধ্যে প্রযুক্তি বা অবকাঠমোগত সীমাবদ্ধতার দোহাই দিয়ে দায় সারার প্রবণতা লক্ষণীয়; যদিও গবেষণা বলছে, প্রযুক্তি নয়, প্যাডাগজি বা শিক্ষাদান পদ্ধতিই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

উচ্চশিক্ষায় যেহেতু শিক্ষকরাই সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও পরিকল্পনা প্রণয়নের অধিকার রাখেন, তাই দৈনন্দিন দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি শিক্ষার মানোন্নয়নেও শিক্ষকদের ইতিবাচক ভূমিকা আবশ্যক।

মিলি সাহা : সহকারী অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

মাধবীলতা নয়, স্কুলের নাম কচুগাড়ি পুনর্বহালের দাবি - dainik shiksha মাধবীলতা নয়, স্কুলের নাম কচুগাড়ি পুনর্বহালের দাবি খুদে শিক্ষার্থীর হাতে অস্ত্র কেনো! - dainik shiksha খুদে শিক্ষার্থীর হাতে অস্ত্র কেনো! এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু আজ - dainik shiksha এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু আজ মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে জানুয়ারিতে - dainik shiksha মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে জানুয়ারিতে মুজিবনগর দিবসে সব স্কুল-কলেজে আলোচনা - dainik shiksha মুজিবনগর দিবসে সব স্কুল-কলেজে আলোচনা মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষক নিবন্ধন সনদের ফটোকপি পোড়ানো কেমন প্রতিবাদ! - dainik shiksha মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষক নিবন্ধন সনদের ফটোকপি পোড়ানো কেমন প্রতিবাদ! কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0073831081390381