গোপালগঞ্জে ইভ টিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বখাটেরা স্কুলছাত্রীর চাচা ও দুই ভাইকে মারপিট করেছে। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সুকতাইল ইউনিয়নের পার চন্দ্রদীঘলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্কুলছাত্রীর চাচা ইয়াকুব খানকে (৪৫) আহত অবস্থায় গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভাই ইমরান খান (২১) ওই হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ইভ টিজিংয়ের শিকার চন্দ্রদীঘলিয়া গ্রামের রাবেয়া আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করেছে।
আহত ইমরান খান অভিযোগ করেন, প্রতিবেশী জহুর মোল্লার বখাটে ছেলে শাহিন মোল্লা (১৯) স্কুলে যাতায়াত করার সময় তাঁর বোনকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। সম্প্রতি শাহিন তার বোনকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়। এ নিয়ে কয়েক দফা সালিশও বসে। তারপরও সে উত্ত্যক্ত করে আসছিল।
এ ব্যাপারে শাহিনের ভাই লিটনের কাছে নালিশ করা হয়। লিটন এ নিয়ে শাহিনকে গালমন্দ করে। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে শাহিন ওই স্কুলছাত্রীর ভাই ইমরানকে পার্শ্ববর্তী বনবাড়ি গ্রামে ধরে মারপিট করে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়।
বিকেলে স্কুলছাত্রীর চাচা ইয়াকুব খান বাড়ির পাশে গদাইখালী বাজারের চৌরাস্তায় বসে ছিলেন। এ সময় শাহিন তাঁর লোকজন নিয়ে ইয়াকুবের ওপর হামলা করে। চাচাকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তারা ইমরানকেও মারপিট করে পালিয়ে যায়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইয়াকুব খান আরও জানান, শাহিন ভবঘুরে এবং বখাটে প্রকৃতির। লেখাপড়া করে না। কখনো কখনো দিনমজুরের কাজ করে। মাঝেমধ্যেই তার ভাতিজিকে উত্ত্যক্ত করে। এর প্রতিবাদ করায় শাহিন ও তার লোকজন তাদের মারপিট করেছে। তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক হযরত আলী বলেন, ওই স্কুলছাত্রী এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেছে। অভিযোগ পেয়েই আমরা শাহিন ও তার সহযোগীদের আটক করতে অভিযান শুরু করি। শাহিন ও তার সহযোগীরা এলাকা থেকে পালিয়ে গেছে। তাই এখনো কাউকে আটক করা যায়নি। প্রাথমিক তদন্তে ছাত্রীর অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।