৫০ শতাংশ চাকরিকাল গণনা করে পদোন্নতি তালিকা তৈরি, প্রধান শিক্ষকদের প্রাপ্ত টাইম স্কেলের ভিত্তিতে উন্নীত স্কেল বাস্তবায়ন করাসহ ৮ দফা দাবি জানিয়েছে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষক মহাজোট। সোমবার (১৩ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান জোটের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়করণ হওয়া প্রাথমিক শিক্ষক মহাজোটের সমন্বয়ক মো. আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এস এম আব্দুল গফুর, বাংলাদেশ ডিজিটাল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ আবদুস সালাম মিয়া, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মো. মাহাবুবুল আলম প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে ঐতিহাসিক মহাসমাবেশে দেশের এক লাখ চার হাজার ৭৭২ জন শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আলোকে বিভিন্ন পরিপত্র ও গেজেট প্রকাশ করা হয় পরিপত্র ও গেজেটের আলোকে সরকারিকৃত শিক্ষকরা সব ধরনের সুবিধা গ্রহণ করে আসছেন। কিন্তু সরকারিকৃত হলেও টাইমস্কেল ও উন্নীত স্কেল পেতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে দাবি করেছেন সরকারিকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
শিক্ষকদের ৮ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, পদোন্নতির তালিকা তৈরি, প্রধান শিক্ষকদের প্রাপ্ত টাইমস্কেলের ভিত্তিতে উন্নীত স্কেল বাস্তবায়ন, প্রধান শিক্ষকের গেজেট সংশোধন করে বাদ পড়াদের অন্তর্ভুক্তি, সরকারি হওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর ৯৯ কোড পরিবর্তন করে ১নং করে নিয়ে আসাসহ রেজিস্ট্রেশন শব্দটি বাদ দিতে হবে, বর্তমান নিয়োগ বিধিতে সহকারী শিক্ষকদের নূন্যতম যোগ্যতা বিএ পাস নির্ধারণ করা হয়েছে বিধায় সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেড ও মহাপরিচালক পর্যন্ত পদোন্নতির ব্যবস্থা রাখতে হবে, সরকারিকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষকের পদ সৃষ্টি, বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।