বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) ২৬তম প্রতিষ্ঠা দিবস আগামীকাল রোববার। ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে এই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়টির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। শিক্ষার্থীসংখ্যা বিবেচনায় এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়, যা উন্মুক্ত ও দূরশিক্ষণ শিক্ষা ব্যবস্থানির্ভর। প্রযুক্তির নানামুখী ব্যবহারের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশজুড়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
বাউবির ১২টি আঞ্চলিক কেন্দ্র, ৮০টি উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্র এবং ১ হাজার ৫শ'র বেশি স্টাডি সেন্টারে ৫১টি শিক্ষা প্রোগ্রাম চলমান রয়েছে। সার্টিফিকেট লেভেল থেকে শুরু করে এমফিল, পিএইচডি পর্যন্ত শিক্ষা লাভের সুযোগ রয়েছে এখানে। কম খরচে এবং চাকরির পাশাপাশি পড়াশোনা করে কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
গাজীপুরে ৩৫ একর জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে বাউবির মূল ক্যাম্পাস। স্কুল অব এডুকেশন, সামাজিক বিজ্ঞান মানবিক ও ভাষা স্কুল, ওপেন স্কুল, স্কুল অব বিজনেস, কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন স্কুল এবং স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি- এই ৬টি স্কুলের অধীনে ৫১টি শিক্ষা প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। নিয়মিত শিক্ষক রয়েছেন ১৩৫ জন। পাশাপাশি স্টাডি সেন্টারে রয়েছেন ২৬ হাজার ৮শ'র বেশি অ্যাডজাঙ্কট টিউটর বা শিক্ষক।
কৃষি শিক্ষায় একাধিক বিষয়ে এমএস প্রোগ্রাম চালু হয়েছে বাউবিতে। ইতিমধ্যে দুটি আধুনিক ল্যাবরেটরি স্থাপিত হয়েছে। সম্প্রতি চালু হয়েছে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন আলট্রা সাউন্ড প্রোগ্রাম। মাস্টার্স ইন ডিজএবিলিটি ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামের শিক্ষার্থী হতে আগ্রহী হচ্ছেন অনেক ডাক্তার ও ফিজিওথেরাপিস্ট। খুব শিগগির চালু হতে যাচ্ছে ডিপ্লোমা ইন ফার্মেসি, প্রাইমারি হেলথ কেয়ার, মাস্টার্স ইন সাসটেইনেবল এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল লাইভলিহুড, মাস্টার অব বিজনেস স্টাডিজ (এমবিএস), পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা-ইন-হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (পিজিডিএইচআরএম), পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা-ইন-সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট (পিজিডিএসসিএম)। মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ওপর গবেষণা কার্যক্রম শুরু হয়েছে বাউবিতে। এই বিষয়ে গবেষণার জন্য দেওয়া হচ্ছে ফেলোশিপ।
এ ছাড়া এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তি শুরু হয়েছে। ফলে প্রথাগত ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের একমাত্র আশ্রয়স্থল বাউবি- এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।