দেশের একমাত্র দূরশিক্ষণ ও উন্মুক্ত শিক্ষানির্ভর উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ বুধবার। ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম। এসএসসি থেকে পিএইচডি পর্যন্ত শিক্ষাদানের জন্য ছয়টি স্কুুলের অধীনে ৫৬টি একাডেমিক প্রোগ্রাম রয়েছে।
প্রায় ছয় লাখ শিক্ষার্থীকে পাঠদানে তথ্যপ্রযুক্তির সংযোগ, ব্র্যান্ডেড এডুকেশন, শিক্ষার্থীর দোরগোড়ায় সরাসরি গিয়ে পাঠ সুবিধা বিস্তার, ভর্তির সঙ্গে সঙ্গে পাঠ্যপুস্তক প্রদান, ঘরে বসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ, ব্যবসায় শিক্ষা, কৃষি, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, আইন, পাবলিক হেল্থ, এমএস ডিগ্রি চালু রয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে।
চাকরির পাশাপাশি কর্মজীবনে পেশাগত যোগ্যতা বাড়াতে দেশজুড়ে ১২টি আঞ্চলিক কেন্দ্র, ৮০টি উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্রে শিক্ষাসেবা দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাস রয়েছে। গাজীপুরে মূল ক্যাম্পাসে মিডিয়া সেন্টারে একাডেমিক প্রোগ্রাম নির্মাণ করে বিটিভির মাধ্যমে ও বেতারে
প্রচার করা হয়। বাউবি নানা তথ্যপ্রযুক্তি ও মাধ্যম ব্যবহার করে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তাই এটি এখন কার্যত একটি ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয়। মানসম্মত পাঠদানে বাউবিতে দেশসেরা শিক্ষকরা ক্লাস নিচ্ছেন। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বাউবি বর্তমান সরকারের ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার রূপকল্প বাস্তবায়ন ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে সোনার বাংলা সৃজনে দৃঢ় প্রত্যয় ঘোষণা করেছে। এক হাজার পাঁচশ' শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্টাডি সেন্টারের সমন্বয়কারী ও শিক্ষার্থীদের কাছে খোলা চিঠি পাঠিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক এম এ মান্নান এ প্রত্যয় ঘোষণা করেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।