পিরোজপুরের নাজিরপুরে এক মাদ্রাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে উপবৃত্তি নিয়ে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের জন্য তিনি জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে শিক্ষার্থীদের না জানিয়ে তাদের নাম ও ছবি ব্যবহার করে অনেকের অভিভাবক পরিবর্তন করে মাদ্রাসার শিক্ষকদের ব্যবহূত মোবাইলে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। অভিযুক্ত ওই মাদ্রাসাপ্রধানের নাম মো. ফরিদ আহম্মদ। তিনি উপজেলার লেবুজিলবুনিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ।
স্থানীয় রেজাউল করিমের ছেলে মো. ফেরদৌস ওই মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্র। উপবৃত্তি টাকা উত্তোলনের জন্য তাকে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এ বিষয়টি কর্তৃপক্ষ ফেরদৌস বা তার অভিভাবককে না জানিয়ে ফেরদৌসের ছবির সঙ্গে তার বাবা পরিচয়ে উপজেলার দেউলবাড়ী ইউনিয়নের পাকুরিয়া গ্রামের রেজাউল হোসেন নামে এক ব্যক্তির ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি ব্যবহার করে ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষকের মোবাইল নং-০১৯৯১-৫৯৪১৮৮ নম্বরে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলেছে। একইভাবে ওই প্রতিষ্ঠানের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র রাকিবুল ইসলামের বিকাশ অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করা হয়েছে ০১৭৩৫-৮৫৬১৬৬ নম্বর। চলতি বছরে দাখিল পাস করা ছাত্র মো. মহিবুল্লাহর বিকাশ অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করা হয়েছে ০১৯২২-৪০১৯৬২ নম্বর, ২০১৮ সালে দাখিল পাস করা ছাত্র রুবেলের বিকাশ অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করা হয়েছে ০১৭১৮-০১৫৭৬২ নম্বর, ২০১৮ সালে দাখিল পাস করা ছাত্র রাকিব হোসেনের বিকাশ অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করা হয়েছে ০১৮৬৪-০৬৩১৭৯ নম্বর। তারা কেউই জানে না তারা উপবৃত্তি পাবে এবং ওই টাকা পেতে তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. ফরিদ আহম্মেদ বলেন, উপবৃত্তির জন্য মাদ্রাসা থেকে ১৩০ ছাত্রছাত্রীর নামে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। অফিস সহকারী নতুন হওয়ায় এবং সে সব ছাত্রছাত্রীকে ভালোভাবে না চেনায় কিছু ভুল-ত্রুটি হয়েছে। সেগুলো আমরা অভিভাবকদের ডেকে সংশোধন করব। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাহিদুল ইসলাম বলেন, এ উপজেলায় উপবৃত্তির জন্য বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলতে গিয়ে নানা ভুল-ত্রুটি করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন আমি ঢাকায় পাঠিয়েছি।