দেশের বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই উপাচার্যদের বিরুদ্ধে ছাত্র অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে। কোনো কোনো উপাচার্যের অনৈতিক কার্যকলাপ বা দুর্নীতি-অনিয়মের খবর প্রকাশের পরই শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করছেন। ছাত্র বিক্ষোভের কারণে অন্তত দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে এরই মধ্যে পদত্যাগও করতে হয়েছে। আন্দোলনের মাধ্যমে অচলাবস্থা তৈরি না হলে সরকারের টনক নড়বে না। ছাত্ররা যাঁকে উপাচার্য হিসেবে চান না, যাঁর বিরুদ্ধে দিনের পর দিন ক্যাম্পাসে মিছিল-মিটিং-স্লোগান হয়, তিনি কোন মুখে ভিসির পদ আঁকড়ে থাকেন? শনিবার (৯ নভেম্বর) কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়।
নিবন্ধে আরও জানা যায়, একজন শিক্ষকের কাছে একটি প্রশাসনিক পদ যখন বড় হয়ে ওঠে, তখন তাঁকে আসলে বিবেকবোধবর্জিত হতেই হয়। শিক্ষকতা যে একটি মহৎ পেশা, সেটা এখন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পদাধিকারীরা ভুলে বসে আছেন। পদ পাওয়ার জন্য তাঁরা যেমন রাজনৈতিক তদবিরের আশ্রয় নেন, পদ রক্ষা করার জন্যও তাঁরা একইভাবে ‘রাজনীতি’ করেন। দলীয় আনুগত্য বিবেচনা করে, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতার বিষয়গুলো বিবেচনায় না নিয়ে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বড় পদগুলোতে নিয়োগ দেওয়ায় সমস্যা ঘনীভূত হচ্ছে। দলীয় আনুগত্যকেই যদি মুখ্য উপাদান হিসেবে বিবেচনা করা অব্যাহত থাকে, আমাদের রসাতলযাত্রা কেউ রোধ করতে পারবে না।
মেনহাজুল ইসলাম তারেক : মুন্সিপাড়া, পার্বতীপুর, দিনাজপুর।