উপাচার্য হটাও আন্দোলনে গতকাল শুক্রবারও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস উত্তপ্ত ছিল। নানা কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। সকাল সাড়ে ১১টায় উপাচার্য খন্দকার নাসির উদ্দিনের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন তাঁরা। বিকেল ৫টার দিকে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে লাল কার্ড দেখিয়ে পদত্যাগের আহ্বান জানান। আর রাতে মশাল মিছিল করেন তাঁরা।
উপাচার্য হটাও আন্দোলনে গতকাল শুক্রবারও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস উত্তপ্ত ছিল। নানা কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। সকাল সাড়ে ১১টায় উপাচার্য খন্দকার নাসির উদ্দিনের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন তাঁরা। বিকেল ৫টার দিকে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে লাল কার্ড দেখিয়ে পদত্যাগের আহ্বান জানান। আর রাতে মশাল মিছিল করেন তাঁরা।
উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ৯ দিন ধরে টানা আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। প্রতিদিনের মতো গতকাল সকালেও শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকে অবস্থান নেন। তাঁরা উপাচার্যের বিভিন্ন অনিয়মের কথা বলে স্লোগান দেন। স্লোগানে স্লোগানে পুরো ক্যাম্পাস মুখরিত হয়ে ওঠে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, উপাচার্য যতক্ষণ না পদত্যাগ করবেন ততক্ষণ তাঁদের আন্দোলন চলবে।
সকালে উপাচার্যের কুশপুত্তলিকা দাহ করার পর বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জয় বাংলা চত্বরে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। সেখানে সবাই হাতে লাল কার্ড উঁচিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক নাসির উদ্দিনকে তাঁর দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার দাবি জানিয়ে স্লোগান দেন। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে চলে এই কর্মসূচি। পরে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মিছিল বের করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
একই দাবিতে রাত ৮টায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল বের করেন। মিছিলটি জয় বাংলা চত্বর থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা তুলে ধরে তাঁর পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। আন্দোলনের মুখে গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা ও শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ত্যাগ করেননি। এর মধ্যে তাঁদের ওপর বহিরাগতদের হামলার ঘটনাও ঘটে। এর মধ্যে তিনজন সহকারী প্রক্টর পদত্যাগ করেছেন।
এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত কমিটি গত বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নূরউদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, গতকাল তাঁরা থানায় মামলা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওসিকে না পাওয়ায় ফিরে এসেছেন। তবে আবার যাবেন বলে জানান তিনি।