ডাকসু নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে পুনঃনির্বাচনের দাবিতে বামজোট ও স্বতন্ত্র প্যানেলগুলোর ডাকা উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালিত হয়েছে গতকাল সোমবার। সকাল থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত অবস্থান করে আন্দোলনকারীরা তাদের কর্মসূচি শেষ করে। কর্মসূচিতে বাংলাদেশ সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার পরিষদ, বামজোট এবং স্বতন্ত্র প্যানেলের প্রার্থী ও সমর্থকেরা অংশ নিয়েছেন। তবে ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নুর কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন না।
এর আগে তিনি পুনঃনির্বাচনের দাবিতে আজকের কর্মসূচিসহ আন্দোলনকারীদের সব কর্মসূচিতে সমর্থন জানিয়েছেন। বাংলাদেশ সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খাঁন দাবি করেছেন অসুস্থ থাকায় নুরুল হক নুর আজকের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন না। কর্মসূচি শেষে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নেতারা। আন্দোলনকারী প্যানেলগুলোর প্রার্থী ও সমর্থকদের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেন ডাকসু নির্বাচনে ভিপি প্রার্থী অরণি সেমন্তি খান ও জিএস পদপ্রার্থী রাশেদ খাঁন।
অরণি সেমন্তি খান বলেন, আমরা খুবই হতাশ। এটা আমাদের জন্য লজ্জার যে আমাদের শিক্ষক যারা আছেন তারা আমাদের অভিভাবক হিসেবে আমাদের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল। কিন্তু তারা আসেননি। তিনি প্রশ্ন করেন যে, তাদের এত ভয় কিসের? এত লুকানোর কী আছে?
রাশেদ খাঁন বলেন, আমরা পাঁচ ঘণ্টা ধরে এখানে বসে ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ পুরো প্রশাসনের নৈতিকতা এত দুর্বল হয়ে পড়েছে যে, শিক্ষার্থীদের সামনে আসার সৎ সাহসটা পর্যন্ত তাদের নেই। এদিকে, উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামানের গলায় সমস্যা হওয়ায় তিনি কথা বলতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন সহকারী প্রক্টর আবদুর রহীম।