নড়াইলের কালিয়া সরকারি শহীদ আবদুস সালাম ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ কামাল মাহমুদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মালামাল ও গাছ বিক্রি, পরীক্ষার ফরম পূরণ এবং ভর্তিতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে আত্মসাৎ ও নানা অনিয়মের সীমাহীন অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিকারের আশায় কলেজের শিক্ষার্থী রসুল বিশ্বাসসহ দশজন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, উপাধ্যক্ষ কামাল মাহমুদ কলেজের নগদ অর্থ, মালামাল ও গাছ বিক্রির বিপুল পরিমাণ টাকা কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে তার নিজের কাছে রেখে আত্মসাৎ করেছেন। এ ছাড়া ২০১৭-১৮ খ্রিষ্টাব্দের উচ্চমাধ্যমিক নির্বাচনীয় পরীক্ষায় যেসব শিক্ষার্থী এক বা দুই বিষয় অকৃতকার্য হয়েছিল তাদের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে অর্থ আদায় করেছিলেন। যারা এক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছিল তাদের কাছ থেকে এক বিষয়ে ১ হাজার, দুই বিষয়ে ২ হাজার এবং ৩ বিষয়ে ৩ হাজার টাকা গ্রহণ করেছিলেন।
আরও অভিযোগ, তিনি ভর্তিতে এবং পরীক্ষার ফরম পূরণে সর্বনিম্ন ৫০০ এবং সর্বোচ্চ ৯০০ টাকা অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে আত্মসাৎ করছেন। তিনি কমিটি বা অধ্যক্ষের অনুমতি ব্যতীত প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষার্থী প্রতি ইনকোর্স ফি ২০০, কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা ৩০০ থেকে ৫০০, অফিস ব্যবস্থাপনা ২০০ থেকে ৫০০, কলেজ উন্নয়ন ২০০ থেকে ৫০০, পরিচয়পত্র ১০০ থেকে ২০০, সাহায্য তহবিল ৫০ থেকে ১০০, অন্যান্য ৫০, ইনকোর্স পরীক্ষা না দিলে ১ হাজার ৪০০, নির্বাচনী পরীক্ষায় এক বিষয় ফেল করলে ১ হাজার, দুই বিষয় ২ হাজার এবং তিন বিষয় ফেল করলে ৩ হাজার, উপবৃত্তি ফরম ১০০ থেকে ২০০, উপবৃত্তি অ্যাকাউন্ট খোলার সময় ২০০ থেকে ৩০০ টাকা আদায় করে থাকেন। ওই অর্থ কলেজ তহবিলে জমা না দিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আত্মসাৎ করছেন। কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই কলেজের ৮টি মাঝারি আকারের মেহগনি, ৫টি রেইনট্রি বিক্রি করেছেন।
তবে উপাধ্যক্ষ কামাল মাহমুদ তার বিরুদ্ধে আনীত যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ‘আমি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে আমার দায়িত্ব পালন করে থাকি। এজন্য আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ অভিযোগ করা হয়েছে।’