সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার হাসমত আলী (৪২) নামে এক ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেটকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় উল্লাপাড়া মডেল থানায় একটি মামলাও দায়ের করা হয়। আজ শুক্রবার (১২ জুন) এ ঘটনায় তার এক সহযোগী পল্লী চিকিৎসক নুরুল ইসলাম রিপন আলীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়া তোফাজ্জল হোসেন নামে আরও এক সহযোগী পলাতক রয়েছে।
গ্রেফতার হাসমত আলী শাহজাদপুর উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের আকবর আলীর ছেলে এবং নুরুল ইসলাম রিপন আলী নন্দীবেড়া গ্রামের একজন পল্লী চিকিৎসক। অপরদিকে পলাতক তোফাজ্জল হোসেনের বাড়ি উপজেলার রাউতান গ্রামে।
জানা যায়, গতকাল দুপুরে উল্লাপাড়ার রাজমান বাজারে নিজেকে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন দোকান থেকে টাকা আদায় করছিল হাসমত। তাকে সহযোগিতা করছিল রিপন ও তোফাজ্জল। এ সময় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে বিষয়টি তারা উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান ও হাসমত আলীকে আটক করে পুলিশে দেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন লিটন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, হাসমত আলী ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে তার দুই সহযোগীকে নিয়ে বিভিন্ন চায়ের দোকান ও অন্যান্য দোকান থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ১০/১২ হাজার টাকা তোলেন। এসময় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা ইউএনওকে জানান এবং পরে হাসমত আলী ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট প্রমানিত হলে তাকে আটক করে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।
রাজমান আঞ্চলিক শাখা অফিসের শ্রমিক নেতা ইউনুস আলী ও দুর্গানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি তারেকুল ইসলাম তারেক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, উল্লিখিত ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট ও দুই সহযোগী এলাকার বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে সাধারণ মানুষকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রচুর অর্থ সংগ্রহ করেছে। ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট গ্রেফতারের পর তার এক সহযোগী গ্রেফতার হলো। অপরজনকে স্থানীয় লোকজনও খুঁজছেন।
উল্লাপাড়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক নুরে আলম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, হাসমত আলীর নিকট থেকে ২ হাজার নগদ টাকা জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে। এদিকে, পল্লী চিকিৎসক রিপনকে আটকের পর থানায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।