ঋষিপল্লীর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অবজ্ঞামূলক আচরণের প্রতিবাদে যশোরের কেশবপুর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ দুই সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ দলিত পরিষদ যশোর জেলা শাখা। রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় যশোর প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে ঋষিপল্লীর শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। তবে প্রধান শিক্ষক খাদিজা বেগমের দাবি, ‘ফেল করা শিক্ষার্থীদের নতুন ক্লাসে না ওঠানোয় এই চক্রান্ত।’
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন অ্যাডভোকেট মাহমুদ হাসান বুলু, প্রশান্ত বর্মণ, বিপুল দাস প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, প্রধান শিক্ষক খাদিজা বেগম ঋষিপল্লীর ৩০ থেকে ৩৫ জন শিক্ষার্থীকে দিয়ে মাঠের ময়লা পরিষ্কার করানো, পানি আনাসহ বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করিয়ে থাকেন। এমনকি তিনি বলেন, ‘মুচিপাড়ার ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া শিখে কি লাভ? তোরা স্কুলে আসিস ক্যান, সময় থাকতে গ্যারেজে ভর্তি হ।’
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক খাদিজা বেগম বলেন, ‘আমরা মানুষ গড়ার কারিগর। এই প্রতিষ্ঠানে কখনো কোনো শিক্ষার্থীর সঙ্গে এ ধরনের আচরণ কল্পনাই করা যায় না।’
তবে কেন আপনার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘স্কুল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা সকল শিক্ষার্থীর দায়িত্ব। এটা কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর জন্য নয়। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই সম্প্রদায়ের প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। তাদের অভিভাবকদের তাগাদা দিলেও তারা কেউই ফলাফল দেখতে স্কুলে আসেননি। তবে তারা নতুন ক্লাসে উঠিয়ে দেয়ার জন্য বলেন। বর্তমানে সরকার ঘোষিত পরিপত্র অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের নতুন ক্লাসে না ওঠানোয় তাঁরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন। একই স্কুলের আরও দুই শিক্ষক যথাক্রমে দিপ্তী রায় ও মুনমুন মুখার্জির বিরুদ্ধেও তাঁরা কেশবপুর ইউএনও বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন।’