এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পেছানোর কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। যদিও কোনো কোনো সামাজিক মাধ্যম ও চটকদারি খবর পরিবেশনে সব্যসাচী গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ‘আন্তঃজেলা শিক্ষাবোর্ড। শনিবার (২১ মার্চ) সকল বোর্ডের চেয়ারম্যানরা সভা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।” আসলে এটি ডাহা মিথ্যা কথা।
দৈনিক শিক্ষার এক প্রশ্নের জবাবে শনিবার দুপুরে ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘আজ শনিবার বোর্ডে কোনো সভায় হয়নি। পরীক্ষা পেছানোর কোনো নীতিগত বা অন্যকোনোভাবে সিদ্ধান্ত হয়নি। পরীক্ষা স্থগিত বা পেছানো নিয়ে আমার সাথে আজ কোনো সাংবাদিকের সঙ্গে কথা হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা পেছানোর ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত সবাইকে জানানো হবে।’ পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্ত নিতে নীতি বা অনীতির কোনো বিষয় নেই। পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
তবে, বোর্ডের অপর এক সূত্র দৈনিক শিক্ষাকে জানিয়েছে, আগামী ২৮ মার্চ পর্যন্ত প্রবেশপত্র বিতরণ স্থগিত করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী ১ এপ্রিল বাংলা (অবশ্যিক) প্রথম পত্র দিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। ৪ মে পর্যন্ত তত্ত্বীয় পরীক্ষা আয়োজন হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর ৫ মে ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হয়ে ১৩ মে পর্যন্ত চলার কথা রয়েছে।
পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দাবি, একটি ক্লাসের ৩০-৪০ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করানো হয়। আর পরীক্ষার হলে অন্তত ৭০-৮০ জনকে এক রুমে বসানো হয়। পরীক্ষার কক্ষে শিক্ষক, প্রশাসনের লোকজন দায়িত্ব পালন করেন। পরীক্ষার কেন্দ্রের বাইরে পুলিশ প্রশাসনসহ সাধারণ মানুষও ভিড় করেন। পরীক্ষার্থীদের নিজ কলেজ থেকে দূরের কলেজ পরীক্ষার কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়। এসব কারণে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে পরীক্ষা স্থগিত করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দাবি, আইইডিসিআর ঘোষণার পর পরীক্ষায় বসতে যাওয়া ১১ লাখের বেশি পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে নির্ধারিত তারিখে পরীক্ষা নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। সারাদেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করে সরকার।