উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী না হলেও বগুড়ায় দুই সরকারি কলেজের কথিত ১৫২ শিক্ষার্থীর নামে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রবেশপত্র ইস্যু করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি শাহ সুলতান কলেজের কথিত শিক্ষার্থী রয়েছে ৮১ জন। বাকি ৭১ জন সরকারি আজিজুল হক কলেজের। তবে প্রকৃত পরীক্ষার্থী না হওয়ায় ওই দুই কলেজের পক্ষ থেকে প্রবেশপত্রগুলো যথারীতি বোর্ডে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
উভয় কলেজ কর্তৃপক্ষের ধারণা, শিক্ষা বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভুলের কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে। অবশ্য রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছে, বিষয়টি তারা যাচাই-বাছাই করে দেখছেন। সে প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের পক্ষ থেকে কিছু বলা সম্ভব নয়।
বগুড়া সরকারি শাহ সুলতান কলেজ থেকে এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য এক হাজার ৭০৪ শিক্ষার্থী ফরম ফিল আপ করে। কিন্তু শিক্ষা বোর্ড থেকে এক হাজার ৭৮৫ জনের প্রবেশপত্র পাঠানো হয় এ কলেজে। একইভাবে সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে এবার ফরম ফিলাপ করে এক হাজার ৫৩৭ শিক্ষার্থী। তবে শিক্ষা বোর্ড থেকে এ কলেজে প্রবেশপত্র পাঠানো হয় এক হাজার ৬০৮ জনের নামে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শাহ সুলতান কলেজে বাড়তি যে ৮১ জনের নামে প্রবেশপত্র পাঠানো হয়েছে তাদের কেউ কেউ ওই কলেজের ছাত্র হলেও ফরম ফিল আপ করেনি। আবার অনেকে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট নিয়ে অন্য কলেজেও চলে গেছে। অর্থাৎ তারা আর ওই কলেজের শিক্ষার্থীই নয়। অন্যদিকে, সরকারি আজিজুল হক কলেজে বাড়তি যে ৭১ জনের নামে প্রবেশপত্র পাঠানো হয়েছে, বর্তমানে তাদের কারও ছাত্রত্ব নেই। শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
সরকারি শাহ সুলতান কলেজ থেকে ফরম ফিল আপ না করলেও যাদের নামে প্রবেশপত্র ইস্যু করা হয়েছে, তাদের একজন রাকিবুল হাসান। সে জানায়, পারিবারিক কিছু সমস্যার কারণে এবার সে পরীক্ষা দেবে না বলে ফরম ফিল আপ করেনি। অন্যদিকে, মেহেদী হাসান নামে অপর একজন জানায়, সে অনেক আগেই ওই কলেজ থেকে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট নিয়ে অন্য কলেজে ভর্তি হয়েছে।
সরকারি শাহ সুলতান কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এজাজুল হক জানিয়েছেন, বোর্ডের সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভুলের কারণেই এমনটি হয়েছে। তিনি বলেন, 'আমরা অতিরিক্ত প্রবেশ পত্রগুলো গত ৩০ মার্চ রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে ফেরত পাঠিয়েছি।'
সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শাজাহান আলীও একই কথা জানিয়েছেন। যোগাযোগ করা হলে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, 'আমরা এগুলো যাচাই-বাছাই করছি। তা শেষ হলে আমরা এর সঠিক কারণ বলতে পারব।'