বগুড়ার নন্দীগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজে ব্যবহারিক পরীক্ষা ও খাতা তৈরি করার নামে এইচএসসি ও ডিগ্রি (পাস) পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (২৪ মার্চ) শিক্ষার্থীরা এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি অভিযোগ করেছেন।
আগামী ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। সেই পরীক্ষায় ব্যবহারিক বিষয়ে খাতা তৈরি ও বেশি নম্বর দেওয়ার কথা বলে এইচএসসি পরীক্ষার্থী প্রতি ৬০০ টাকা ও ডিগ্রির জন্য ১২০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নন্দীগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজের একাধিক ছাত্রী জানায়, ফরম পূরণের সময় যাবতীয় ফি পরিশোধ করা হয়েছে। এরপরও শিক্ষকরা আমাদের কাছ থেকে জোর করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন।
ধার্যকৃত টাকা না দিলে ব্যবহারিক পরীক্ষায় কম নম্বর দেওয়ার হুমকিসহ ব্যবহারিক খাতায় স্বাক্ষর না করার অভিযোগও উঠেছে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। শিক্ষকদের এই হুমকিতে অনেক গরিব ও অসহায় শিক্ষার্থীকে বিপাকে পড়তে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ ওসমান গণি সরকার বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে কোনো ছাত্রী আমার কাছে অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার বলেন, ব্যবহারিক পরীক্ষার ও খাতার নামে টাকা নেওয়ার কোনো বিধান নেই। কোনো শিক্ষক যদি এভাবে অর্থ আদায় করে থাকেন তবে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।