এক পদে দুই বেতন নিয়ে বিশৃঙ্খলা - দৈনিকশিক্ষা

এক পদে দুই বেতন নিয়ে বিশৃঙ্খলা

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। একই দিনে একই পদে যোগদান করে কেউ বেতন পাচ্ছেন ১১তম গ্রেডে আবার কেউ বেতন পাচ্ছেন ১৩তম গ্রেডে। একই অবস্থা ১৪ ও ১৬তম গ্রেডেও। কয়েকটি মন্ত্রণালয় এসব গ্রেডে উচ্চতর গ্রেড সুবিধা দিয়েছে, আবার কোনো কোনো মন্ত্রণালয় দেয়নি। যারা উচ্চতর গ্রেড পেয়ে অতিরিক্ত বেতনভাতা ভোগ করছেন তাদের ক্ষেত্রে যে কোনো সময় অডিট আপত্তি আসতে পারে। এতে ভোগকৃত সব সুবিধা ফেরত দেয়ার আতঙ্কে আছেন তারা। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দেশ রূপান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিখেছেন আশরাফুল হক।

প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে কম্পিউটার অপারেটর পদে সরাসরি নিয়োগে গ্রেড ১৩ এবং ইন সার্ভিস ডিপার্টমেন্টাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তাদের ১১তম গ্রেডে বেতনভাতা দেয়া হয়। ১৬তম গ্রেডের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর পদেও বিভাগীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তাদের ১৪তম গ্রেড সুবিধা দেয়া হয়। বেতন বৈষম্য নিরসন সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সুপারিশে এবং প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনে ২০১০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর পদেও সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে ১৩তম গ্রেড এবং বিভাগীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সাপেক্ষে তাদের ১১তম গ্রেড দেয়া হয়। তাদের পাশাপাশি ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে অফিস সহকারীরাও দুটি অগ্রিম ইনক্রিমেন্ট সুবিধা পেয়ে আসছিলেন।

এসব বিষয়ে অর্থ বিভাগের সচিব আবদুর রউফ তালুকদারের দপ্তরে যোগাযোগ করা হলে তারা বিষয়টি নিয়ে বাস্তবায়ন অনুবিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। বাস্তবায়ন অনুবিভাগের প্রধান সত্যজিত কর্মকার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন না বলে তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তার মাধ্যমে এই প্রতিনিধিকে জানান।

এসব পদের কর্মচারীরা সরকারের তৃতীয় শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। সরকারের মোট ১৩ লাখ ৪২ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত ‘স্ট্যাটিসটিকস অব সিভিল অফিসার্স অ্যান্ড স্টাফ’ অনুযায়ী তাদের সংখ্যা ৮ লাখ ২৬ হাজার। এসব কর্মচারীর একটা বিরাট অংশ উচ্চ গ্রেড সংকটে ভুগছেন। তারা অর্থ মন্ত্রণালয়ে ধরনা দিয়ে, নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দিয়ে ফোন করিয়েও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মন গলাতে বা সংকটের সুরাহা করতে পারছেন না।

অর্থ বিভাগ ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ জুলাই এক ইউওনোটের মাধ্যমে উচ্চতর বেতন গ্রেডের এসব সুবিধা বাতিল করার আদেশ জারি করলেও ওই আদেশ ভূতাপেক্ষভাবে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের জাতীয় বেতন স্কেল জারির দিন অর্থাৎ ১ জুলাই থেকে উচ্চতর গ্রেড সুবিধা বন্ধ করা করার কথা বলা হয়েছে।

২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ, জনপ্রশাসন, সমাজকল্যাণ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক, বাণিজ্য, পররাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়সহ আরও কিছু মন্ত্রণালয় ডিপিসির মাধ্যমে কম্পিউটার অপারেটর, ডেটা এন্ট্রি অপারেটর ও সাঁটমুদ্রাক্ষরিকদের উচ্চতর গ্রেডের সুবিধা দিয়েছে। কিন্তু ইউও নোট জারির পর জাতীয় সংসদ সচিবালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ কয়েকটি মন্ত্রণালয় হতে উচ্চতর গ্রেডের মতামত চাওয়া হলে অর্থ বিভাগ তা নাকচ করে দেয়। ফলে মন্ত্রণালয় ভেদে একই সময়ে নিয়োগ পাওয়া একই পদের কর্মচারীদের কেউ ১৩তম গ্রেডে, কেউ ১১তম গ্রেডে বেতন পাওয়ায় তাদের মধ্যে বেতন বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে। যেসব কর্মচারী এ সুবিধা পাচ্ছেন না তাদের মধ্যে হতাশা ও চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। পাশাপাশি নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ে বিভাগীয় পদোন্নতি বা ডিপিসির মাধ্যমে যারা উচ্চতর গ্রেড পেয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে যে কোনো মুহূর্তে অডিট আপত্তি উত্থাপিত হতে পারে। যদি আপত্তি উত্থাপিত হয় তাহলে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের জাতীয় বেতন স্কেল কার্যকরের তারিখ হতে অথবা এর পরবর্তী সময়ে যে তারিখে উচ্চতর গ্রেডের সুবিধা পেয়েছেন ওই তারিখ হতে ভোগকৃত ১১তম গ্রেডের পরিবর্তে ১৩তম গ্রেডে বেতন পুনরায় নির্ধারণ করা হবে। এ পরিস্থিতি হলে অদ্যাবধি ভোগকৃত বর্ধিত সব সুবিধা ফেরত দিতে হবে এমন আতঙ্কে আছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট পদের কর্মচারীরা জানিয়েছেন, মূলত পদগুলো টেকনিক্যাল বিবেচনায় দুটি করে বেতন স্কেল রাখা হয়েছে যা ওই আদেশ জারির পর থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রদান করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১৯৮৫, ১৯৯১, ১৯৯৭, ২০০৫, ২০০৯ ও সর্বশেষ ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে জাতীয় বেতন স্কেল জারি করা হয়। কোনো বেতন স্কেল বইয়েই উল্লিখিত স্মারকসমূহ সংরক্ষণ করা হয়নি এবং ভবিষ্যতে সংরক্ষণ করতে হবে এ ধরনের কোনো নির্দেশনাও নেই।

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ভুক্তভোগী এসব কর্মচারী জানান, বিষয়টি নিয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের তৎকালীন সচিব এমএএন সিদ্দিক অর্থ বিভাগের তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব ইলিয়াস লস্করকে টেলিফোনে অনুরোধ করেছিলেন। তিনি বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাসও দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সারা জীবন চাকরি করি। কিন্তু তাদের কাছ থেকে না পেলে আমরা কোথায় গিয়ে ন্যায়বিচার পাব।’

জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের এক কর্মচারী জানান, একই বিষয়ে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের তৎকালীন সচিব সম্পদ বড়ুয়াও অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ইলিয়াস লস্করকে টেলিফোনে অনুরোধ করেছিলেন।

সরকার জারিকৃত প্রজ্ঞাপন, বেতন বৈষম্য দূরীকরণ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সিদ্ধান্ত ও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে জারিকৃত কোনো জেনারেল আদেশ ইউওনোটের মাধ্যমে বাতিল করা যায় কি না জানতে চাইলে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ‘কোনো স্মারক, পরিপত্র, অফিস আদেশ যে পর্যায়ের অনুমোদনক্রমে জারি করা হয় তা বাতিল, বন্ধ, স্থগিত বা অকার্যকর করতে হলে কমপক্ষে ওই পর্যায় পর্যন্ত যেতে হবে। অন্যথায় বিধিগত ত্রুটি থেকে যাবে।’

সংশ্লিষ্টরা জানান, ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ‘দ্য সার্ভিস রিঅর্গানাইজেশন অ্যাক্ট’-এর আওতায় আটটি জাতীয় বেতন স্কেল জারি করা হয়েছে। কোন বেতন স্কেলের বইতে উল্লিখিত স্মারকসমূহ সংরক্ষণ করতে হবে এ ধরনের কোনো নির্দেশনা নেই। তারপরও অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন অনুবিভাগের কর্মকর্তাদের নেতিবাচক আচরণের কারণে নতুন বেতন স্কেলের দোহাই দিয়ে আমাদের এ সুবিধা কর্তন করা হয়। নতুন জাতীয় বেতন স্কেলে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড কর্তন করায় তাদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। একই সঙ্গে সর্বশেষ বেতন স্কেলে ওই সুবিধা সংরক্ষণ না করার দোহাই দিয়ে আমাদের আরও দুই গ্রেড নিচে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। এসব কর্মচারী বলেন, ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী আমরা ১১তম গ্রেডে বেতন পেতাম। পাশাপাশি তিনটি টাইম স্কেল পেয়ে অষ্টম গ্রেড পর্যন্ত যাওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের জাতীয় বেতন স্কেল জারি হওয়ার কারণে ১৩তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছি। পাশাপাশি চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে আরও দুটি উচ্চতর গ্রেড পেয়ে ১১তম গ্রেড পর্যন্ত যেতে পারব। ফলে সর্বশেষ জাতীয় বেতন স্কেল জারি হওয়ার কারণে আমাদের পদের বেতন স্কেল তিনটি গ্রেড ডাউন হয়েছে। তাই সর্বশেষ জাতীয় বেতন স্কেলের সুবিধা পাওয়ার চেয়ে না পাওয়া আমাদের জন্য অনেক ভালো ছিল। অথচ নতুন বেতন স্কেল জারি করা হয় কর্মচারীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে। এ বেতন স্কেলে আমাদের সুবিধার চেয়ে বেশি অসুবিধায় ফেলেছে। আমরা আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। সরকার যেখানে কর্মচারীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে বেতন স্কেল কার্যকর করেছে সেখানে বাস্তবায়ন অনুবিভাগের কয়েক কর্মকর্তা মিলে কর্মচারীদের সুবিধার চেয়ে বেশি অসুবিধায় ফেলছে। এছাড়া বেতন স্কেলের দোহাই দিয়ে ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দ হতে প্রদানকৃত অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদের দুটি অগ্রিম ইনক্রিমেন্টসহ বেশকিছু সুবিধা বন্ধ করা হয়েছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিষয়টি অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনা প্রয়োজন।

গত বছর ১০ জুন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর তিমুর মকসুমুল করিম ১৪তম গ্রেড পেয়েছেন। তিনি ১৬তম গ্রেডে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে চাকরিতে যোগদান করেন। ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক আদেশে ১০ জনকে গ্রেড সুবিধা দেয়। একই বছরের ৬ জুন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কম্পিউটার অপারেটর পিয়াস ধরসহ চারজন উচ্চতর গ্রেড সুবিধা পেয়েছেন। তারা ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে একই দিনে ১৩তম গ্রেডে চাকরিতে যোগদান করেন। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কম্পিউটার অপারেটর মো. মুকুল হোসেন ও মোহাম্মদ খোরশেদ আলম এবং সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. খলিলুর রহমান ভূঞা ও জাহানারা ভূঁইয়া উচ্চতর গ্রেড সুবিধা পেয়েছেন। ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় কম্পিউটার অপারেটর মো. জিয়াউর রহমান আখন্দকে উচ্চতর গ্রেড সুবিধা দেয়। ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ৭ এপ্রিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২৫ জন সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটরকে ১৩তম গ্রেড থেকে উচ্চতর গ্রেডের সুবিধা দিয়ে ১১তম গ্রেডে পদোন্নতি দেয়। একই বছর কৃষি মন্ত্রণালয় নয়জন কম্পিউটার অপারেটরকে ১১তম গ্রেডের সুবিধা দেয়। এক অভিন্ন আদেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও তাদের নয়জন কম্পিউটার অপারেটর উচ্চতর গ্রেড সুবিধা দেয়। ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে অর্থ মন্ত্রণালয় সানজিদা আক্তার রুমা এবং মো. আহসান হাবীবকে এ গ্রেড সুবিধা দেয়।

দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ - dainik shiksha আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0083920955657959