অপহরণের এক মাস অতিবাহিত হলেও সাতক্ষীরার শ্যামনগরের মাদ্রাসা ছাত্রী খাদিজা খাতুনকে (১৫) অদ্যাবধি উদ্ধার করতে পারেনি শ্যামনগর থানা পুলিশ। গত ৭ মে সকাল ১০টার দিকে মাদ্রাসা যাওয়ার পথে পরিকল্পিতভাবে তাকে অপহরণ করা হয়। সে তেঘরিয়া গ্রামে মুজিবর গাজীর মেয়ে ও দরগাপুর এনডিএস মাদ্রাসায় নবম শ্রেণীর ছাত্রী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, তেঘরিয়া গ্রামে আব্দুল হাই সিদ্দিকের বখাটে ছেলে আব্দুল আলিম রানা মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে খাদিজাকে প্রায় উত্যক্ত করত। বিষয়টি রানার পরিবারকে জানানো হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি তার পরিবারের লোকেরা। এতে বখাটে আব্দুল আলিম আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। রানার অপর সহযোগী একই গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক, আবু জাফর ও নুরুজ্জামানের সহায়তায় ঘটনার দিন সকাল ১০টার দিকে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে খাদিজাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মেয়ের পিতা বাদী হয়ে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল আদালতে ৪ জনকে আসামি করে মামলা করেছে। কোর্টের নির্দেশে শ্যামনগর থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। যার নং-০৩। বাদী মুজিবর রহমান মেয়েকে উদ্ধার করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওসি সৈয়দ আব্দুল মান্নান, এক মাস আগে মামলা হয়েছে। আমরা তাকে খুঁজতে চেষ্টা করেছি, খুঁজে পাইনি। চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, অপহরণের মামলার ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না!