ডাকসু নির্বাচনের ফলাফলে খুশি হতে পারেননি দেশের শীর্ষ দুই ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। উভয়পক্ষই পুনঃনির্বাচনের দাবিতে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ভোর থেকেই ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেছেন। সোমবার গভীর রাতে ফলাফল ঘোষণার পরই ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ভিপি পদে পুনর্বিবেচনার দাবি করা হয়। তারা ভিসির বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে। তার চেয়েও একধাপ এগিয়ে পুনঃতফসিল দাবি করেছে ছাত্রদল। ফলে দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ছাত্র সংগঠন দুটি কার্যত একই দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছে।
‘ভোট ডাকাতির ডাকসু নির্বাচন প্রত্যাখ্যান ও পুনঃতফসিল ঘোষণার দাবিতে’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ধর্মঘট পালন করছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সেটি অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে গিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়।
ছাত্রদল প্যানেল ভিপি প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান সমাবেশে বলেন, ‘গতকাল ভোট ডাকাতির যে নির্বাচন হয়েছে সে নির্বাচনকে আমরা বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। ভিসিসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সকল শিক্ষকদের পদত্যাগ দাবি করছি। ডাকসু নির্বাচনের জন্য যে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে সেটা পুনর্গঠন করে পুনঃতফসিল ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘এটা ষড়যন্ত্রের নির্বাচন। রেজাল্ট পরিকল্পিত। তাই এ ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছি।’ ছাত্রদলের পরবর্তী কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আজকের কর্মসূচির পর পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
এর আগে ফলাফল ঘোষণার পরই ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত নূরুল হক নূরকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে জিএস পদে বিজয়ী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ইমোশনকে ব্যবহার করে রোকেয়া হলের প্রভোস্টের উপর হামলা চালিয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা মামলা করেছে। আমরা ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই। প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী নিষিদ্ধ। আমরা এই ভোট পুনর্বিবেচনার দাবি জানাচ্ছি।