একই পদে ৪ জন কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করার আবেদন করেছেন একজন প্রধান শিক্ষক। নীলফামারীরর জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের চার জন কর্মচারীকে একই পদে এমপিওভুক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। আর তাই, প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক অব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। অধিদপ্তর সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। যদিও অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের দাবি কমিটির চাপে একই পদে ৪ জন কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করার আবেদন করা হয়েছে।
সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, গোলমুন্ডা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ড্রেস মেকিং ও টেইলরিং বিষয়ে ল্যাব অ্যাসিসটেন্ট পদে একে একে ৪ জন কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করার আবেদন করা হয়েছে। প্রথমে তোহিদুল ইসলাম ও মো. আব্দুল মোতালেব নামে দুইজন কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করার আবেদন করা হয়। কিন্তু পরে আবার আসাদুজ্জামান ও সাইদুল ইসলাম নামের দুইজন কর্মচারীর এমপিও আবেদন করা হয়েছে। পরে আবেদন করা কর্মচারীরা এগ্রো বেইসড ফুড বিষয়েরে ল্যাব সহকারী হিসেবে নিয়োগ পেলেও তাদের ড্রেস মেকিং ও টেইলরিং বিষয়ে ল্যাব অ্যাসিসটেন্ট পদে এমপিওভুক্ত করতে অধিদপ্তরে আবেদন করেছেন প্রতিষ্ঠান প্রধান।
অধিদপ্তর সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও জানায়, বিদ্যমান কারিগরি প্রতিষ্ঠানের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোতে বলা আছে, মিথ্যা তথ্য দিয়ে বা অবৈধভাবে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের এমপিও স্থগিত বা বাতিল করা হবে। একই পদে যেহেতু চার চার জন কর্মচারীর এমপিও আবেদন করা হয়েছে তাই বোঝাই যাচ্ছে কেউ না কেউ মিথ্যা তথ্য দিয়ে এমপিও আবেদন করেছেন। এমপিও নীতিমালা অনুসারে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এক পদে চার জন কর্মচারী এমপিও আবেদন করায় কেন তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে তাকে শোকজ করা হয়েছে। সব প্রমাণসহ ব্যাখ্যা দিয়ে ১০ কার্য দিবসের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে প্রধান শিক্ষককে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমি প্রতিষ্ঠানটিতে ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে যোগদান করেছি। তোহিদুল ইসলাম ও মো. আব্দুল মোতালেব নামে দুইজন কর্মচারীকে ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। তখন তাদের এমপিও আবেদন করা হয়। কিন্তু পরে কমিটি পরিবর্তন হয়ে যায়। কমিটির বদলের পর আসাদুজ্জামান ও সাইদুল ইসলামকে নিয়োগ দেয়া হয়। এরপর এমপিওভুক্ত হতে নানাভাবে চাপ দেয়া শুরু করে তারা। একপর্যায়ে অনেকটা বাধ্য হয়েই তাদের এমপিও আবেদনও করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, অধিদপ্তর থেকে করা শোকজ নোটিশ আমি এখনো পাইনি। তবে, আমি সব কিছু পরিষ্কারভাবে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরকে জানাবো।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।