একই সনদে দুই শিক্ষকের এমপিও - Dainikshiksha

একই সনদে দুই শিক্ষকের এমপিও

রুম্মান তূর্য |

একই সনদ জাল করে দীর্ঘদিন ধরে এমপিও ভোগ করছেন দুই শিক্ষক। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার মল্লিকাদহ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক দিপেন্দ্রনাথ রায় ও রসায়নের শিক্ষক বাবুল চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে। একই রোল নম্বর ব্যবহার করে তৈরি করা দুটি নিবন্ধন সনদ দেখিয়ে স্কুলটিতে শিক্ষকতা ও এমপিও ভোগ করছেন এ দুই শিক্ষক। এ বিষয়টি জানিয়ে ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনে।  

অভিযোগে বলা হয়, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার মল্লিকাদহ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক দিপেন্দ্রনাথ রায় ও বাবুল চন্দ্র রায় দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত। যে নিবন্ধন সনদটি ব্যবহার করে তারা এমপিও ভোগ করছেন তাও জাল। তাদের দুই জনের নিবন্ধন সনদের রোল নম্বর ও নিবন্ধন নম্বরও এক।

এদিকে, গত ৪ নভেম্বর বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের অফিসে মল্লিকাদহ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক দিপেন্দ্রনাথ রায় এবং বাবুল চন্দ্র রায়ের নিবন্ধন সনদের যাচাইয়ের আবেদন করেন রমনা থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. মইনুল ইসলাম। 

গত ২৮ নভেম্বরে এনটিআরসিএ অফিস থেকে রমনা থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. মইনুল ইসলামকে পাঠানো সনদ যাচাই প্রতিবেদনে বলা হয়, সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক বাবুল চন্দ্রের ৩য় শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ২১২১০২৪১ রোল নম্বরের সনদটি সঠিক নয়। উত্তীর্ণ রোল নম্বরটি অমর কুমার মহন্ত নামে এক প্রার্থীর। অপরদিকে রসায়ন বিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক দ্বিপেন্দ্রনাথ রায়ের সনদটির রোল নম্বরও ২১২১০২৪১। এ সনদটিও সঠিক নয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে এনটিআরসিএ। এ সনদটির প্রকৃত মালিক অমর কুমার মহন্ত। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক বাবুল চন্দ্র রায় দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, একটি মহল ষড়যন্ত্র করে আমাদের নামে এ রকম অভিযোগ করেছে। আমার সনদটি সঠিক। তাই তো আমি চাকরি করতেছি। জাল হলে তো চাকরি করতে পারতাম না। এনটিআরসিএর সনদ যাচাই প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করা হলে শিক্ষক বাবুল বলেন, এ বিষয়ে আমি জানি না। অভিযুক্ত শিক্ষক দ্বিপেন্দ্রনাথ রায় দৈনিক শিক্ষার প্রশ্নের জবাবে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।  

অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি - dainik shiksha চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0068850517272949