ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনে কোনো মতামত দিতে না পারার অভিযোগ তুলেছেন সিনেট সদস্যরা। বর্তমান উপাচার্য এম আখতারুজ্জামান নিয়ম ভেঙে একক সিদ্ধান্তে প্যানেলের ১ নম্বরে নিজের নাম দিয়েছেন বলে অভিযোগ তাদের। তবে, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বর্তমান উপাচার্য। নিয়ম মেনেই প্যানেল হয়েছে বলে দাবি তাঁর।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো প্যানেলের ৩ জনের মধ্যে ১ জনকে চার বছরের জন্য উপাচার্য হিসেবে নিয়োগে দেবেন রাষ্ট্রপতি। ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগের জন্য তিন জনের একটি প্যানেল মনোনয়নে বুধবার (৩১ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সিনেটের বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
উপাচার্য নির্বাচনে সিনেট অধিবেশনে ১০৫ সদস্যের মধ্যে যোগ দেন ৯৬ জন। দীর্ঘ ২৬ বছর পর শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরাও এতে যোগ দেন। সাদা দলের শিক্ষকেরা নির্বাচন বর্জন করায় নীল দলের প্যানেল অনুমোদনের জন্য ওঠে সিনেট সভায়।
শিক্ষকেরা জানান, নির্বাচনে প্যানেল দিতে মঙ্গলবার রাতে নীল দলের প্রতিদ্বন্দ্বিদের মধ্যে নির্বাচন হয়। সেখানে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে ১ নম্বরে ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, ২ নম্বরে বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক এম আখতারুজ্জামান এবং ৩য় হন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মাকসুদ কামাল।
সে অনুযায়ী সিনেট অধিবেশনে এই তালিকাই চূড়ান্ত করে রাষ্ট্রপতির কাছ পাঠানোর কথা। তবে, অভিযোগ উঠেছে উপাচার্য আখতারুজ্জামান নিয়ম ভেঙে নিজের নাম ১ নম্বরে বসিয়ে দেন। সেটিই তড়িঘড়ি করে অনুমোদন পায় অধিবেশনে। অধিবেশনে কাউকে মতামত দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়নি বলেও জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন সদস্য।
এ নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে নীল দলের শিক্ষকদের মধ্যেও। নীল দলের সহ-আহ্বায়ক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, 'এ ধরনের কাজ নীল দলের নীতির সাথে সাংঘর্ষিক।'
তবে, অভিযোগ অস্বীকার করেন বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক এম আখতারুজ্জামান। মোবাইল ফোন কলে একজন গণমাধ্যম কর্মীকে তিনি বলেন, 'এসব সত্য নয়।'