‘একজন অধ্যাপককে কেন খুন করা হলো? সুতরাং, আমি এখন পর্যন্ত বুঝতে পারছি না জিনিসটা (হত্যা) ব্যক্তিগত, না রাজনৈতিক, না প্রাতিষ্ঠানিক?’ এমন উত্তর খুঁজছেন প্রয়াত শিক্ষক ড. এ কে এম শফিউল ইসলাম লিলনের ছেলে সৌমিন শাহরিদ ।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে রায় প্রকাশের পরে সৌমিন শাহরিদ সাংবাদিকদের বলেন, মামলার রায় দেখেই বোঝা যায়, তদন্ত প্রক্রিয়ায় গাফিলতি রয়েছে। চাঞ্চল্যকর মামলায় ১১ জন আসামির মধ্যে ৮ জনই বেকসুর খালাস সেটাই প্রমাণ করে। ন্যায় বিচার পাইনি। উচ্চ আদালতে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবো।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে সৌমিন শাহরিদ বলেন, মামলা দায়েরের সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেরও গাফিলতি ছিল। হত্যাকাণ্ডের পরদিন রেজিস্ট্রার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার দু’মাস পরে এ বিষয়ে রেজিস্ট্রারের কাছে জানতে চাইলে তিনি মামলার বিষয়ে কোনো খোঁজ নেই বলে জানান। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো মামলা করা হলে সেটি রেজিস্ট্রারকে করতে হয়, এজন্য তিনি করেছেন। বিচারের নামে আমাদের সঙ্গে প্রহসন করা হয়েছে। যার ফল আজকের এ রায়।