একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত - দৈনিকশিক্ষা

একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত

নাসরিন সুলতানা |

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট ৭৩ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রথম ও প্রধান দুটি দায়িত্ব হল- শিক্ষাদান ও গবেষণা। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার ক্ষেত্রে শিক্ষাদান ও গবেষণা আলাদা আলাদাভাবে আবশ্যকীয় শর্ত। অর্থাৎ এ দুটি শর্তের যে কোনো একটির অনুপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা তার স্বকীয়তা হারায়।

আবার যখন এ দুটির সমন্বয় ঘটে, তখনই তা প্রকৃতপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা হয়ে ওঠে, যা কোনো কলেজ বা বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা থেকে আলাদা। কারণ কলেজ বা বিদ্যালয়গুলোয় কেবল শ্রেণীকক্ষে পাঠদানের আবশ্যকতা রয়েছে; কোনো গবেষণার আবশ্যকতা নেই; নেই সেই সুযোগেরও।

সম্প্রতি ইউজিসি কর্তৃক ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক নিয়োগের জন্য এক অভিন্ন নীতিমালা প্রদান করা হয়েছে। এ নীতিমালা অনুযায়ী বিজ্ঞান, কলা, সামাজিক বিজ্ঞান, বিজনেস স্টাডিজ, আইন ও চারুকলা অনুষদের প্রভাষক হতে ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ ৪.৫০ এবং স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে ৩.৫০ থাকতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি প্রথমে লিখিত পরীক্ষা, ডামি ক্লাস এবং তারপর ভাইভা শেষে দেয়া হবে চূড়ান্ত নিয়োগ।

এই অভিন্ন নীতিমালা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা যেন কেবল শ্রেণীকক্ষে পাঠদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। শিক্ষকদের গবেষণার সঙ্গে সম্পৃক্ততার আবশ্যকতা এখানে স্পষ্টভাবে উপেক্ষিত হয়েছে। এছাড়া প্রভাষক নিয়োগে যে বয়সের সীমাবদ্ধতা নেই, সে বিষয়টিও আমলে নেয়া হয়নি। অর্থাৎ যে ছাত্র পাঁচ বছর ধরে পড়াশোনা করে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় ভালো ফল করেছে, প্রধানমন্ত্রীর স্বর্ণপদক পেয়েছে অথবা যার আছে একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশনা, আছে একটি নর্থ আমেরিকান ডিগ্রি, তাকেও বসতে হবে লিখিত পরীক্ষায় পাস করতে।

বিষয়টি এমন যেন কেবল সদ্য পাস করা গ্র্যাজুয়েটরাই প্রভাষক হওয়ার যোগ্য। ধরা যাক, এক বছরে কলা ও মানবিক অনুষদের কোনো একটি বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে ১০ জন উপরিউক্ত শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্ত পূরণ করে। ফলে এই শর্তানুযায়ী তাদের সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার জন্য আবেদন করতে এবং পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। ধরা যাক, তাদের মধ্যে ১০ম হওয়া প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় ভালো করল এবং প্রথম হওয়া প্রধানমন্ত্রীর পদকপ্রাপ্ত প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় বাদ পড়ল।

অর্থাৎ দৈবক্রমে শুধু লিখিত পরীক্ষায় খারাপ করার জন্য একজন মেধাবী শিক্ষকতা করার সুযোগ পাবে না। অন্যদিকে, পাঁচ বছরের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাজীবনে যে ছাত্র কখনও গবেষণা করেনি, কোনোরকমে টেনেটুনে জিপিএ ৩.৫ পাওয়া, সেই ছাত্রটি কেবল একটি লিখিত পরীক্ষা, ডামি ক্লাস ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জোরে হবে প্রভাষক।

তাছাড়া লিখিত পরীক্ষা যে কোনো সৃজনশীলতার ক্ষেত্রে অনেক বড় অন্তরায়। তাই উন্নত বিশ্বের দেশগুলোয় উচ্চতর ডিগ্রির ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষা বা ক্লাসরুম পরীক্ষার পরিবর্তে টার্ম পেপার লেখার পদ্ধতিকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। যে পদ্ধতিতে সৃজনশীলতার সুযোগ কম, সেই পদ্ধতি একজন যোগ্য শিক্ষকের নিয়োগের উপযুক্ত পদ্ধতি হতে পারে না।

মানছি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম হচ্ছে। কিন্তু এ অনিয়ম রোধের জন্য যে নিয়ম হচ্ছে, সেই নিয়মে আরও বেশি অনিয়মের সুযোগ রাখা হয়েছে। এ পদ্ধতি কার্যকর হলে অযোগ্য শিক্ষকের নিয়োগের সংখ্যা আরও বাড়বে এবং একজন অযোগ্য শিক্ষকের যোগ্যতাকে জাস্টিফাই করা হবে এই বলে যে, তিনি একটি কঠিন পরীক্ষা পদ্ধতির মধ্য দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে নিয়োগ পেয়েছেন।

অতএব, স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে পেছনের দিকে অবস্থান থাকলেও তাকে অযোগ্য বলা যায় না। ফলে স্বজনপ্রীতি বাড়বে; বাড়বে অগবেষক শিক্ষকের সংখ্যা। তাই নিয়োগে অনিয়ম দূর করা মানে এই নয় যে, লিখিত পরীক্ষার মতো পদ্ধতি দিয়ে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে শুধু শ্রেণীকক্ষে পাঠদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা।

আমরা যেন উন্নত বিশ্বের দিকে বন্ধ চোখে তাকিয়ে থাকি। আমাদের সুবিধা যেখানে, সেগুলো শিখতে চাই। আর যেখানে সুবিধা নেই, তা শিখি না। বিশ্বের অন্য কোনো দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার ক্ষেত্রে এসএসসি বা এইচএসসির রেজাল্ট লাগে কি না আমার জানা নেই। এ পর্যন্ত যতগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডির জন্য আবেদন করেছি, কোথাও দেখিনি এসএসসি, এইচএসসির রেজাল্ট চাওয়া হয়েছে।

কিন্তু আঁতুড়ঘরে কে কী ছিল, সেই সংকীর্ণতা থেকে এখনও আমরা নিজেদের অবমুক্ত করতে পারিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্যতা হিসেবে কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এইচএসসিতে সর্বনিম্ন জিপিএ চাওয়া হয় ৪, আবার কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এইচএসসিতে জিপিএ চাওয়া হয় ৩.৫। এখন এই অভিন্ন নীতিমালা মেনে নেয়ার মানে হল এইচএসসিতে জিপিএ ৪ পাওয়া একজন শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের আগেই তার চাকরির বাজার সংকুচিত করে দেয়া, তাকে গবেষণায় নিরুৎসাহিত করা।

কারণ এ নতুন নীতিমালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার পেশাটিতে সে আবেদন করার যোগ্য নয়। এতে একদিকে যেমন তাকে একটি সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হবে; অন্যদিকে তার মধ্যে যে একজন ভালো গবেষক সুপ্তাবস্থায় ছিল সেটাকে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করে দেয়া হবে। এ পদ্ধতিতে প্রভাষক নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হলে তা হবে জাতির জন্য একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।

অন্যদিকে, শিক্ষকদের পদায়ন বা আপগ্রেডেশনের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, পিএইচডি ছাড়া অধ্যাপক হতে হলে সহযোগী অধ্যাপক পদে ১০ বছরসহ মোট ২২ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অতি উত্তম প্রস্তাব। সত্যিকার অর্থেই পিএইচডি ছাড়া অধ্যাপক হয়েছেন বলে বাজারে যে কথা প্রচলিত আছে তা বন্ধ হবে। এটা কার্যকর হলে একজন অধ্যাপকও পাওয়া যাবে না যার পিএইচডি নেই। কিন্তু পিএইচডি একটি ব্যয়বহুল ডিগ্রি। দেশের বাইরে পিএইচডি করা আরও ব্যয়সাপেক্ষ।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, শিক্ষকের পদোন্নতির জন্য এই যে পিএইচডি ডিগ্রির কথা বলা হচ্ছে তার ব্যয়ভার কে বহন করবে? দেশে এখন অনুমোদনপ্রাপ্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪৯ এবং তার মধ্যে চালু আছে ৩৭টি। এ ৩৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন কয়েক হাজার শিক্ষক। আমাদের দেশের এমন কোনো চাকরি আছে কি যেখানে ব্যক্তিগত খরচে নিজের মানোন্নয়ন করতে হয়, যার সুফল বহন করে সমগ্র জাতি? ধরে নিলাম পিএইচডি করা একজন শিক্ষকের নিজস্ব দায়। ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে একজন পিএইচডি ডিগ্রিধারী অধ্যাপকের জায়গা কোথায়? বাংলাদেশের অন্য কোনো চাকরিতে এমন কঠিন শর্তের কথা উল্লেখ আছে কি? নেই।

তারপরও সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়ে অধ্যাপক হওয়ার পর একজন অধ্যাপকের জন্য পুরস্কার হল- ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে তার পদের নামটি লেখার মতো জায়গা হয়নি। একজন অধ্যাপককে অন্য চাকরিজীবীদের অবস্থান দেখে বুঝে নিতে হয় তিনি সমাজের কোন স্তরে অবস্থান করছেন। ঘোড়ার আগে গাড়িটি জুড়ে দেয়া আমাদের আজীবনের স্বভাব। আমরা এখনও সেখান থেকে বের হতে পারিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন বিভাগ খোলা হলে দেখা যায় ক্লাসরুম, শিক্ষকের জন্য অফিস কিংবা একটি বিভাগে যে ধরনের আসবাবপত্র থাকা প্রয়োজন, তার ব্যবস্থা না করেই ছাত্র ভর্তি করা হয়, ক্লাস শুরু করা হয়। ফলে শিক্ষক না পান বসার জায়গা, না পান একটি ভালো ক্লাসরুম। ডিজিটাল বাংলাদেশে অনেক শিক্ষকের অফিসে নেই একটি কম্পিউটার; নেই শিক্ষকের জন্য গবেষণার পর্যাপ্ত বরাদ্দ; নেই বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য বিশেষ প্রকল্প।

এসব সমস্যার সমাধান না করে আমরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছি কী করে বিশ্ববিদ্যালয়ে অগবেষক মনোভাবের শিক্ষকের সমাবেশ ঘটানো যায়। আমরা ভুলে যাচ্ছি একটি বিশ্ববিদ্যালয় একদিকে যেমন দেশের জন্য ভালো জনশক্তি উৎপাদন করে, অন্যদিকে তেমনি দেশকে উপহার দেয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কার।

তাহলে আমাদের জন্য এ মুহূর্তে করণীয় কী? অবশ্যই শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীর গবেষণায় আগ্রহ, পূর্ব অভিজ্ঞতা, উচ্চতর ডিগ্রি, বিভাগের কারিকুলাম উন্নয়নে প্রার্থী কতটা ভূমিকা রাখতে পারবেন- এগুলোকে সবার ওপরে গুরুত্ব দিতে হবে। লিখিত পরীক্ষার মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার স্বকীয়তা ধ্বংসকারী এবং গবেষণা নিরুৎসাহিতকারী আত্মঘাতী পদ্ধতি থেকে সরে আসতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে কেবল মেধাবীরাই শিক্ষকতার সুযোগ পায়, সেজন্য সবকিছু ঢেলে সাজাতে হবে। যেমন- ১. ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে অধ্যাপকদের উপযুক্ত স্থান দেয়া; ২. বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে সহকারী অধ্যাপক পদের জন্য পিএইচডি বাধ্যতামূলক করা। এটি হবে ফাউন্ডেশন ট্রেনিংয়ের মতো এবং একজন লেকচারার পদে যোগদান করার ১ বছরের মধ্যে তাকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ দান এবং তার জন্য সব ধরনের আর্থিক সহায়তা প্রদান। পিএইচডি ডিগ্রি চলাকালীন একজন শিক্ষককে পূর্ণকালীন ছুটি প্রদান এবং তা সক্রিয় চাকরি হিসেবে গণ্য করা; ৩. সরকারের বা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থের যাতে অপচয় বা অসদ্ব্যবহার না হয়, সেজন্য নির্দিষ্ট সময়েই ডিগ্রি সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রাখা যেতে পারে; ৪. প্রতিবছর অন্তত একটি আন্তর্জাতিক কনফারেন্স পেপার সাবমিটের বাধ্যবাধকতা থাকতে পারে এবং সেক্ষেত্রেও কনফারেন্সে যোগদানের সব ব্যয়ভার সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়কে বহন করতে হবে; ৫. প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক মানের লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা।

আমরা যেমন দক্ষ জনশক্তি উৎপাদন করতে চাই, তেমনি চাই জাতিকে নতুন জ্ঞান উপহার দিতে। বিশ্ববিদ্যালয় যদি গবেষণা থেকে দূরে সরে যায়, দেশের উচ্চশিক্ষা ধ্বংস হতে বাধ্য; ব্যাহত হবে উন্নয়ন প্রক্রিয়াও। তাই দেশের উন্নয়নে, উচ্চশিক্ষার মান সুনিশ্চিত করতে একজন দক্ষ লেকচারারের পাশাপাশি একজন সৃজনশীল গবেষকের কোনো বিকল্প নেই।

 

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, দর্শন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

 

সৌজন্যে: যুগান্তর

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.00537109375