জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড নতুন কারিকুলাম ও সিলেবাস প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে। বর্তমানে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে কৃষিশিক্ষা ঐচ্ছিক থাকায় শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে। কৃষিপ্রধান বাংলাদেশে কৃষি প্রায়োগিক শিক্ষা। কৃষিশিক্ষা অধ্যয়ন করে কৃষির জ্ঞান দিয়ে হাঁস-মুরগির খামার, গবাদিপশুর খামার, মাছ চাষ, শাকসবজি, ফল, ফুল, মাশরুম, মৌ, রেশম, ফলসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য উৎপাদন করে বেকারত্ব দূর করা যায়। মঙ্গলবার (২৫ জুন) সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়। নিবন্ধটি লিখেছেন ফরহাদ আহাম্মেদ।
এ জন্য প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ফোরামে কৃষিশিক্ষায় গুরুত্ব দিচ্ছেন। প্রতিবছর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার আগে ও পরে লক্ষাধিক শিক্ষার্থী লেখাপড়া বাদ দেয়। তাদের কৃষির জ্ঞান থাকলে সহজেই কৃষিপণ্য উৎপাদন করে বেকারত্ব দূর করতে পারত। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী কৃষিশিক্ষা চতুর্থ বিষয় (ঐচ্ছিক) হিসেবে নিচ্ছে। ঐচ্ছিক বিষয় নেওয়ায় কৃষিশিক্ষা অধ্যয়নে আগ্রহ কম। কৃষিশিক্ষা বিষয় আবশ্যিক বা নৈর্বাচনিক হিসেবে পড়ার সুযোগ পেলে কৃষির জ্ঞান অর্জন করতে আগ্রহী হতো। উল্লেখ্য, আগের কারিকুলামে কৃষিশিক্ষা আবশ্যিক-নৈর্বাচনিক ছিল। কারিকুলামে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে কৃষিশিক্ষা আবশ্যিক-নৈর্বাচনিক গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা সচিব, এনসিটিবি কর্তৃপক্ষ ও কমিটির কাছে আবেদন জানাচ্ছি।
লেখক: কৃষিবিদ, ভূঞাপুর, টাঙ্গাইল