কুমিল্লা মুরাদনগরে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ফি’র নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার শ্রীকাইল সরকারি কলেজ, রামচন্দ্রপুর আবদুল মজিদ কলেজ, কাজী নোমান আহম্মেদ ডিগ্রি কলেজসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে ইচ্ছামতো অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
এদিকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মফস্বল এলাকার অধিকাংশ শিক্ষার্থীর পরিবার নানা সংকটের বেড়াজালে থাকলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ তা আমলে নিচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী অর্থ পরিশোধ করে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে বাধ্য হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকসহ সচেতন মহলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যত কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না। সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, সবকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উচ্চ-মাধ্যমিক একাদশ শাখায় শিক্ষার্থী ভর্তি চলছে। শ্রীকাইল সরকারি কলেজে বিজ্ঞান, ব্যবসা ও মানবিক বিভাগে একাদশে ভর্তির আসন সংখ্যা রয়েছে ৩৮৫টি। আর প্রতি আসন থেকে ভর্তি ফরম বাবদ অতিরিক্ত ৩০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।
শ্রীকাইল কলেজে একাদশে ভর্তিচ্ছুকরা জানান, ভর্তি বাণিজ্য বন্ধে সরকারের কঠোর নির্দেশনা থাকলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ তা মানছেন না। বর্তমান করোনা দুর্যোগের কারণে অধিকাংশ পরিবার আর্থিকভাবে অসচ্ছল হয়ে পড়েছে তা সত্ত্বেও কলেজে বাড়তি ফি-র বোঝা আমাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের কাছে এ টাকা আদায়ের কোনো রশিদ দিচ্ছেন না কলেজ কর্তৃপক্ষ।
শ্রীকাইল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিয়া গোলাম সারোয়ার বলেন, আমাদের কলেজ এখনও সরকারি হয়নি। সরকারিকরণের প্রক্রিয়া চলছে। কমিটির লোকজনের সঙ্গে কথা বলেই এ টাকা আদায় করা হচ্ছে। আর প্রতি বছর আমরা একাদশে ভর্তির প্রক্রিয়া এভাবেই আরম্ভ করি।
তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে এ ধরনের টাকা আদায়ের কোনো বিধান উল্লেখ না থাকায় এটা বিধিবহির্ভূত। ইউএনও অভিষেক দাশ বলেন, শিলা মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত নিয়মের বাইরে বাড়তি টাকা আদায়ের কোনো সুযোগ নেই। বাড়তি টাকা আদায়ের কোনো সত্যতা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।