এখন থেকে প্রতিমাসে একবার এমপিওভুক্তির লক্ষ্যে এমপিও কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। দীর্ঘদিন ধরে দুই মাস অন্তর একবার বৈঠক বসে আসছিল। নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে নিয়োগ পেয়ে এখন আর কমপক্ষে দুই মাস অপেক্ষা করতে হবে না কাউকে। প্রতিমাসেই এমপিওভুক্ত হওয়া যাবে। বুধবার (৭ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনে বেসরকারি শিক্ষা প্র্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও (বেতন-ভাতার সরকারি অংশ) কমিটি পুর্নগঠন করা হয়েছে। এতে প্রতি মাসে একবার এমপিও কমিটির বৈঠকের কথা বলা হয়েছে। অসম্পূর্ণ আবেদনকারীকে আবেদন পাওয়ার সাত দিনের মধ্যেই তা জানিয়ে দেয়া হবে। শিক্ষক-কর্মচারীদের সুবিধার জন্য এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাকে বলেছেন।
পদাধিকার বলে এমপিওভুক্তি কমিটির প্রধান মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। ব্যক্তি পর্যায়ের এমপিওর যাবতীয় দায়দায়িত্বও মহাপরিচালকের। মহাপরিচালককে সভাপতি করে ৩১ সদস্যের এ কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। কমিটিতে নতুন অনেককে নেয়া হয়েছে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিমাসে একটি সভার মাধ্যমে বিধি বিধান অনুযায়ী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনভাতা প্রাপ্তির আবেদন পর্যালোচনা করে এমপিওভুক্ত করবে এ কমিটি। এছাড়া এ কমিটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের বিধি মোতাবেক প্রাপ্ত আর্থিক সুবিধার (টাইমস্কেল, সিলেকশন গ্রেড, উচ্চতর গ্রেড) অনুমোদন প্রদান করবে।
৩১ সদস্যের পুনর্গঠিত এমপিও কমিটিতে রয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৩ যুগ্মসচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কলেজ শাখার উপসচিব, ব্যানবেইসের মহাপরিচালকের প্রতিনিধি, এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, আইন কর্মকর্তা, মাধমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ৯ আঞ্চলিক উপপরিচালক ও দুইজন সহকারী পরিচালক।
অসম্পূর্ণ আবেদনপ্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে আবেদনকারীকে করণীয় সম্পর্কে জানাতে বলা হয়েছে এ কমিটিকে। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনভাতা প্রদানের তথ্যাদি প্রতিমাসের ৭ তারিখের মধ্যে নির্ধারিত ছকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে পাঠাতে এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতেও বলা হয়েছে।